উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে এ বার সব আসনে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটকে সমর্থন করছে তৃণমূল। অখিলেশের আমন্ত্রণে লখনউতে প্রচারেও গিয়েছেন মমতা। গোয়ার প্রাক্তন শাসকদল মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি)-র সঙ্গে জোট গড়ে সে রাজ্যে ভোটে লড়ছে তৃণমূল।
১০ মার্চের পর ফের বৈঠকে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের গণনার পরে ফের বৈঠকে বসবে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি। তবে কলকাতায় নয়, এ বার বৈঠক হবে দিল্লিতে। শনিবার দলের একটি সূত্র এ খবর জানিয়েছে। আগামী ১০ মার্চ ওই পাঁচ রাজ্যের ভোটগণনা। তার পরেই দিল্লিতে হবে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে এ বার সব আসনে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটকে সমর্থন করছে তৃণমূল। অখিলেশের আমন্ত্রণে লখনউতে প্রচারেও গিয়েছেন মমতা। গোয়ার প্রাক্তন শাসকদল মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি (এমজিপি)-র সঙ্গে জোট গড়ে সে রাজ্যে ভোটে লড়ছে তৃণমূল।
গত শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দলের সর্বভারতীয় পর্যায়ের যাবতীয় পদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে ২০ সদস্যের জাতীয় কর্মসমিতি গড়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নবগঠিত সেই জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম বৈঠকে নয়া পদাধিকারিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নিজের পুরনো পদ অর্থাৎ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় কর্মসমিতির সঙ্গে দলনেত্রী মমতার সমন্বয় রক্ষার ভার পেয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তৃণমূলের নয়া সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন যশবন্ত সিন্হা, সুব্রত বক্সী এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। সর্বভারতীয় মুখপাত্রের দায়িত্বে সুখেন্দু শেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও মহুয়া মৈত্র। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সংগঠন দেখার দায়িত্ব পেয়েছেন অসমের সুস্মিতা দেব, ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক এবং মেঘালয়ের মুকুল সাংমা। দলের বৈদেশিক ও অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ ভার দেওয়া হয়েছে যশবন্ত সিনহা ও অমিত মিত্রকে।