গ্রাফিক: শান্তনু ঘোষ।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বাকি আর কয়েক মাস। তার আগে সারদা কাণ্ড নিয়ে ফের সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছে সিবিআই। তা নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তবে চাঁচাছোলা মন্তব্যের পরিবর্তে ব্যঙ্গধর্মী জিঙ্গল লিখে সিবিআই-কে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ থেকে নিস্তার পাননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
ক্রিসমাস ক্যারোল ‘ডেক দ্য হল্স’-এর অনুকরণে রবিবার সকালে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে একটি জিঙ্গল পোস্ট করেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। বাংলায় যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘এটা হাসিখুশি থাকার মরসুম, এটা সিবিআইয়ের খেল দেখানোর মরসুম, বিরোধীদের ধরপাকড়ের মরসুম, কিন্তু সাবধান হোন শাহজি, এটা মুর্খামি’।
সারদা কাণ্ডে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ফের হলফনামা জমা দিয়েছে সিবিআই। তাতে বিধাননগর এবং কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে তারা। সিবিআইয়ের দাবি, বহু ‘রাঘববোয়াল’ এখনও নাগালের বাইরে রয়ে গিয়েছে। তাই এ নিয়ে নতুন করে উদ্যোগী হয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল ভাঙার চেষ্টা বিজেপির, বিরোধীরা মমতার পাশে থাকুন’: সেনা
কিন্তু নির্বাচনের আগে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রশ্ন, আচমকা ফের রাজীবকে হেফাজতে নিতে এত আগ্রহী কেন সিবিআই? বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনেই কি এত সক্রিয়তা? জিঙ্গলের আদলে লেখা ছড়ার মাধ্যমে মহুয়াও সেই প্রশ্ন উস্কে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এর পিছনে অমিত শাহের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
নারদ কেলেঙ্কারিতে শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার ভিডিয়ো ইউ টিউব থেকে সরিয়ে ফেলা নিয়েও দিন কয়েক আগে টুইটারে বিজেপি এবং অমিতকে একহাত নেন মহুয়া। তাতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শুভেন্দুর নাম যদিও উল্লেখ করেননি তিনি। ওই টুইটে মহুয়া লেখেন, ‘অমিত শাহ একটি জাদুর ধোপাখানা চালান, যেখানে বিজেপি-তে যোগ দিলেই সমস্ত পাপ ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়’।
আরও পড়ুন: রেকর্ড গড়ে কলকাতা শীতলতম, দিঘা ১০.৭, ঠান্ডায় কাঁপছে দার্জিলিং
তবে রবিবার সিবিআই এবং অমিতকে কটাক্ষ করে লেখা ওই জিঙ্গলটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন মহুয়া। বিখ্যাত ক্রিসমাস ক্যারোলটিকে অনুকরণ করায় যেমন তাঁর সমালোচনা করেছেন নেটাগরিকরা, তেমনই সিবিআইয়ের সঙ্গে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যোগসাজশ থাকার ইঙ্গিত দেওয়ার জন্যও তাঁকে আক্রমণ করেছেন অনেকে। তবে ‘২ পয়সার সাংবাদিক’ থেকে, ‘২ আনার রাজনীতিক’, সম্প্রতি একের পর এক মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন মহুয়া। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন এই ব্যঙ্গধর্মী জিঙ্গল।