ফাইল ছবি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোভিড-মডেল তথা দু’মাস রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ রাখার কথা নিয়ে যে বিতর্কের শুরু, তা ক্রমশ হয়ে উঠছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম কুণাল ঘোষ বিতণ্ডা। তোপ, পাল্টা তোপে ক্রমেই আরও বেআব্রু হচ্ছে শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে আক্রমণ শানিয়েছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। পত্রপাঠ তার জবাব এল শ্রীরামপুর থেকে। এ বার কল্যাণ বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে নেতা বলে মানি না। যে যার পদে আছে, সেই পদকে সম্মান করি। কিন্তু নেতা বলে মানি না।’’ পাশাপাশি নাম করে দলের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কল্যাণের খোঁচা, ‘‘অভিষেক ব্যানার্জি যদি ত্রিপুরা আর গোয়া জিতিয়ে দেখাতে পারেন, তাহলে ওঁকে নেতা বলে মেনে নেব!’’
কল্যাণ কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন কুণালের দিকেও। তিনি বলেন, ‘‘জেল থেকে মমতাকে আক্রমণ করিনি। প্রিজন ভ্যান থেকেও কিছু করিনি। কবে দলে আছেন, কবে নেই, জানি না। আমার ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করলে, আমাকেও দেখতে হবে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে কি না।’’
বুধবার অভিষেকের বক্তব্যকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে দাবি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন কল্যাণ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি সর্বক্ষণের। তাই এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত মত থাকতে পারে না। অনেক বিষয়েই আমারও ব্যক্তিগত মত আছে। দলীয় শৃঙ্খলার কারণেই তা প্রকাশ্যে বলি না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারেরই বিরোধিতা করার শামিল। এ ভাবে আসলে রাজ্য সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।’’
এ নিয়ে জলঘোলা শুরু হতেই কল্যাণের বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দাগেন কুণাল। বলেন ‘‘দলের সর্বাধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরই রয়েছেন অভিষেক। অভিষেকের মতো নেতা কিছু বললে দলের সৈনিক হিসেবে আমাদের তা চুপ করে শোনা উচিত। কোনও মন্তব্যের আগে সব দিক ভেবে দেখা উচিত।’’ এ কথা বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই সপাট জবাব এল শ্রীরামপুরের সাংসদের তরফ থেকে।