Asansol

কুলটিতে উদ্ধার ১০টি বন্দুক, ৫০ রাউন্ডের বেশি কার্তুজ! ধৃত দুই, ভিন্‌রাজ্য থেকে বাংলায় ঢুকেছিল আগ্নেয়াস্ত্র?

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার আসানসোলের কুলটি থানার কল্যাণেশ্বরী মন্দির এলাকার একটি বাড়িতে হানা দিয়েছিল এসটিএফের দল। সঙ্গে ছিল কুলটি থানার পুলিশও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কুলটি শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৩
Share:

(বাঁ দিকে) ধৃতদের আনা কুলটি থানায় আনা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমানার কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ। শুধু আগ্নেয়াস্ত্র নয়, সঙ্গে ছিল প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলিও। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার আসানসোলের কুলটি থানার কল্যাণেশ্বরী মন্দির এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় এসটিএফের দল। অভিযানে সঙ্গে ছিল কুলটি থানার পুলিশও। ওই বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত আছে, এমন খবর পেয়েই অভিযান চালানো হয়েছিল। ওই বাড়ি থেকে ১০টি পাইপগান, ৫০ রাউন্ড ৮ এমএম কার্তুজ, ৪ রাউন্ড ৯ এমএম কার্তুজ মেলে। পুলিশের অনুমান, ভিন্‌রাজ্য থেকেই এত আগ্নেয়াস্ত্র এসেছিল।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (পশ্চিম) সন্দীপ কররা জানান, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আগ্নেয়াস্ত্র আমদানির সঙ্গে তাঁদের যোগের কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা। তবে কী উদ্দেশ্যে এত আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। পরে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম মিনারুল ইসলাম ও সফিকুল ইসলাম। দু’জনের বাড়িই মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। তাঁরা অন্তঃরাজ্য বেআইনি অস্ত্রকারবারি গ্যাংয়ের সদস্য বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

শনিবারই শেষ হয়েছে ঝাড়খণ্ডের ভোট পর্ব। সেই সঙ্গে বাংলারও ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এত অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সপ্তাহখানেক আগেই কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুন করার চেষ্টা হয়। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ জানতে পেরেছে, সুশান্তকে মারতে বিহার থেকে অস্ত্র আমদানি করা হয়েছিল। ভিন্‌রাজ্য থেকে কী ভাবে সীমানা পেরিয়ে বাংলায় অস্ত্র ঢুকছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। পুলিশকে বিষয়টিতে নজর দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। সেই আবহেই কুলটি থেকে অস্ত্র উদ্ধার হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement