ফাইল চিত্র।
পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীয়ের নামে ঝাঁ চকচকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, সেই সময়ে পিংলার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি কলকাতায় গিয়ে দেখা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সূত্রের খবর, দু’জনের মধ্যে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। এই সাক্ষাতের পরেই দলীয় সংগঠনে রদবদল করে অজিতকে মেদিনীপুর ও ঘাটাল, তৃণমূলের এই দুই সাংগঠনিক জেলার কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে।
শনিবার ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যান অজিত। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতায় গিয়েছিলাম। ওঁর (অভিষেক) সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। জেলার পরিস্থিতি নিয়ে, সাংগঠনিক বিষয় নিয়েই কিছু কথা হয়েছে। আর অন্য কিছু নয়।’’ তাঁর দাবি, ওই স্কুলের বিষয়ে কথা হয়নি। দলের অন্দরে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন হিসেবেই পরিচিত অজিত। মে মাসে জেলায় এসে অজিতের নাম জেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন মমতা নিজে। তাঁর বার্তা ছিল, ‘‘অজিত মাইতির নামটা আমি ঘোষণা করে যাচ্ছি এই কারণে, তিনি সব ব্লককে নিয়ে কো-অর্ডিনেশন করে কাজ করবেন।’’ সেই ধারা বজায় রেখেই সোমবারের রদবদল। তৃণমূলের এক সূত্রের ব্যাখ্যা, তাঁকে যে দুই সাংগঠনিক জেলাকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে, অজিতকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়ে আগাম হয়তো সেটাই বুঝিয়েছেন অভিষেক।
বিভিন্ন জেলার নেতাদের কলকাতায় ডেকে অভিষেক সাংগঠনিক আলোচনা শুরু করেছেন বলে খবর। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠন ঢেলে সাজতেই এই পদক্ষেপ বলে অনুমান। সূত্রের খবর, সোমবার থেকে ডাকা হচ্ছে জেলার সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান প্রমুখকে। তার আগেই ডাকা হয় অজিতকে। অজিত বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে।’’
তবে সাংগঠনিক বৈঠক আর অভিষেকের সঙ্গে অজিতের সাক্ষাতের বিষয়টিকে এক করে দেখছেন না দলের অনেকে। কারণ, পশ্চিম মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলার দলীয় সভাপতি, চেয়ারম্যানকে ডাকা হয়নি। তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজয় হাজরা ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত দু’জনেই বলছেন, ‘‘শনিবার জেলাতেই ছিলাম।’’ আর সেই সূত্রেই দলের একাংশের অনুমান, স্থানীয় বিধায়কের থেকে পিংলার ওই স্কুলের ব্যাপারেও খোঁজ নিয়ে থাকতে পারেন অভিষেক।
পিংলার খিরিন্দা মৌজায় মামা কৃষ্ণচন্দ্র অধিকারীর থেকে সাড়ে তিন একর জমি লিজ়ে নিয়ে ওই স্কুলটি করেছেন পার্থের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। কৃষ্ণচন্দ্রের বাড়িতে তল্লাশি ও তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ ইতিমধ্যেই করেছে ইডি।