Mamata Banerjee

ভবানীপুরে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বিধায়ক দিদি

মঙ্গলবার ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের লেডিস পার্কে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও বিধায়ক হিসাবে এই সাংবাদিক বৈঠক করার দায়িত্ব ছিল মমতারই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৫
Share:

রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের শীর্ষ নেতার এই কর্মসূচিতে শামিল হন।  ছবি: ফেসবুক।

ভবানীপুর বিধানসভার কেন্দ্রের দু’বারের বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এ বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি পালন করতে নামবেন তিনি। মঙ্গলবার ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের লেডিস পার্কে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও বিধায়ক হিসাবে এই সাংবাদিক বৈঠক করার দায়িত্ব ছিল মমতারই। বদলে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়-সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের শীর্ষ নেতারা এই কর্মসূচিতে শামিল হন।

Advertisement

সাংবাদিক বৈঠকে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, মুখ্যমন্ত্রী কি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মসূচিতে সামিল হবেন? জবাবে জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস বলেন, ‘‘নজরুল মঞ্চে যে দিন নেত্রী এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন, সে দিনই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি নিজেও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তাই এমন প্রশ্ন উঠছে কেন?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজের সময়-সুযোগ বুঝে এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বাকি কর্মসূচির জন্য তো আমরা রয়েইছি।’’

এই প্রশ্নের জবাব দেন ফিরহাদও। তিনি বলেন, ‘‘দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূত বলেও একটি অংশ রয়েছে। সেই দূত হচ্ছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি যেমন পালন করার করবেন। বাকি ক্ষেত্রে আমরা তাঁর দূত হিসাবে কর্মসূচি পালন করব।’’ প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের জন্য এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন। সঙ্গে জানিয়েছিলেন ১১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য জুড়ে কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। ৬০ দিন ধরে চলা এই কর্মসূচিতে ২ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। ৩,৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকেই এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এই কর্মসূচিতে সামিল হতে বলা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠি ও পরিবারবর্গের হাতে তুলে দেবেন তৃণমূলের নেতারা। সঙ্গে রাজ্যের ১৫টি প্রকল্প তাঁরা পেয়েছেন কি না বা তাঁরা কেন পাচ্ছেন না, তা বিস্তারিত আকারে জানাবে ‘দিদির দূত’রা। দিদির দূত নামে একটি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কোনও তৃণমূল কর্মীদের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement