ফাইল ছবি।
হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে এ বার কটাক্ষ করলেন বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। দলবদল প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে লকেটকে একদা দলীয় সতীর্থ বাবুলের খোঁচা, ‘আমি বরং চুপই থাকি, কী বলো লকেট!’শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইন খবর করে, বাবুল-অর্জুনের পর তৃণমূলের পথে পা বাড়িয়ে রয়েছেন বিজেপির তিন নেতা। তার মধ্যে দু’জন সাংসদ লকেট এবং সৌমিত্র খাঁ। অন্য জন গেরুয়া শিবিরের জাতীয় স্তরের কমিটির সদস্য অনুপম হাজরা। ওই প্রতিবেদনেই আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিনিধিকে তাঁর তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনা উড়িয়ে লকেট দাবি করেন, ‘‘তৃণমূল আমাদের দুর্বল করতেই এ সব রটাচ্ছে। বিজেপি আমায় যে সম্মান দিয়েছে, তার পরে দলবদল করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’ যাঁরা ইতিমধ্যেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন তাঁরা অসম্মানের সঙ্গেই রয়েছেন বলেও দাবি লকেটের। তাঁর কথায়, ‘‘বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে গিয়ে কী পেয়েছেন? এখনও দ্বিতীয় একাদশেই রয়ে গিয়েছেন। আর আমি যাবই বা কেন?’’
তারই পাল্টা এ বার এসেছে বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়কের কাছ থেকে। রাত আটটার কয়েক মিনিট পর বাবুলের টুইটারে ভেসে ওঠে একটি টুইট। তাতে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলা লকেটের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বাবুলের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘আমি বরং চুপই থাকি, কী বলো লকেট!’
প্রসঙ্গত, লকেটকে গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে বাবুল-ঘনিষ্ঠ হিসেবেই দেখা হত। সেই বাবুল বিজেপি ঘুরে এখন তৃণমূল শিবিরে। বাবুলের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই জল্পনা চলছিল, এ বার কি লকেটের পালা? বস্তুত, বিজেপি ঘরোয়া দ্বন্দ্বের সময় বিক্ষুব্ধ অংশের পাশে দাঁড়িয়ে লকেটও একাধিক বার সেই জল্পনায় ইন্ধনও যুগিয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে।
যদিও তৃণমূলে যোগদানের ব্যাপারে বরাবরই সপাটে না বলেছেন হুগলির সাংসদ। শুক্রবারও তেমনই দৃঢ়তার সঙ্গে তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা উড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু এই প্রেক্ষিতেই অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, এ সপ্তাহের শুরুতে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের দলবদলের ঘটনা। তিনিও দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে এসেছেন চিরকাল। কিন্তু শেষমেশ ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন।
অন্য দিকে, বাবুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময়ই বলেছিলেন, তিনি প্রথম একাদশে খেলার লোক। রিজার্ভ বেঞ্চে বসা তাঁর ঘোর নাপসন্দ। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বিজেপিতে সেই সুযোগ মেলেনি। এই প্রেক্ষিতে তাঁকে নিয়ে লকেটের মন্তব্যকে বালিগঞ্জের বিধায়ক কটাক্ষ করলেন।