বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
বাসন্তীর তৃণমূলকর্মী আজহার লস্কর মারা যাননি, জীবিতই রয়েছেন। এ বিষয়ে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। পরে তিনি ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন।
বিধায়ক জানিয়েছেন, রাতে আজহারের পরিবার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে তিনি মৃত্যুসংবাদ পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে রবিবার সকালে জানতে পারেন, আজহার বেঁচেই আছেন। যদিও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার ভোটপর্ব মিটলে রাধারানিপুরের ২৪১ নম্বর বুথের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আরএসপি এবং তৃণমূলের কর্মীরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু আজহারের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, রবিবার সকালে আজহারের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। প্রথমে ভুল তথ্য জানানোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘গতকাল আজহার গুরুতর ভাবে জখম হন। তাঁকে রক্তাক্ত করেছিলেন আরএসপির কর্মীরা। কলকাতার হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। গভীর রাতে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছিল। তাঁর পরিবার এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব আমাদের জানিয়েছিল, সম্ভবত আজহারের মৃত্যু হয়েছে। আমরা সেই মতো প্রশাসনকে জানাই এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করি। পরে সকালে আজহারের দাদার সঙ্গে আমার কথা হয়। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, ভোরে আজহারের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে তিনি মারা যায়নি। ঈশ্বরের কৃপায় ভাল আছেন। স্থানীয় নেতৃত্ব যে ভুল খবর আমাদের দিয়েছিল, আমরা তা প্রশাসন এবং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলাম। ভুলবশত এটা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।’’
বিধায়কের কথার ভিত্তিতে আনন্দবাজার অনলাইনেও ‘মৃত্যু’র খবর প্রকাশিত হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আমরাও সতর্ক থাকব। আজহার লস্কর এবং তাঁর পরিবারের কাছেও আমরা নিঃশর্তে ক্ষমাপ্রার্থী।