— ফাইল চিত্র।
আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই মণিপুর নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল পরিষদীয় দল। আনুষ্ঠানিক ভাবে বাদল অধিবেশন শুরুর ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সোমবার থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হবে। সেই অধিবেশনের একটি পর্যায়ে মণিপুরের ঘটনা নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনতে পারে তৃণমূল পরিষদীয় দল। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, “বিষয়টি নিয়ে বিজ়নেস অ্যাডভাইজ়ারি কমিটির বৈঠকে আলোচনা হবে। তার পরেই এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব হবে।” একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশন শুরুর আগে বসবে বিজ়নেস অ্যাডভাইজ়ারি কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকেই মণিপুর নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনার কথা আলোচনা হতে পারে।
তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সঙ্কেত পেলেই তাঁরা নিন্দাপ্রস্তাব আনার বিষয়ে তোড়জোড় শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, গত ১৯ এবং ২০ জুলাই মণিপুর গিয়েছিল তৃণমূল সংসদীয় দলের কয়েক জন সদস্য। সেখানে পাহাড় এবং সমতলের আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ছাত্র, গণ সংগঠনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। মণিপুরের রাজ্যপাল অনসুয়া উইকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মণিপুর থেকে ফিরে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি রিপোর্টও জমা দিয়েছেন। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে মমতার। তার পরে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে মণিপুর সফরে যেতে চান। আর তার পরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাদল অধিবেশনে মণিপুর নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব আনার বিষয়ে উদ্যোগ শুরু হয়েছে।
গত তিন মাস ধরে কুকি এবং মেইতেই জাতির মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় অশান্ত মণিপুর। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, দু’জন মহিলাকে বিবস্ত্র করে প্রকাশ্য রাস্তায় হাঁটানো হচ্ছে। ঘটনাটি মণিপুরে চলতি বছর ৪ মে ঘটেছিল বলে জানা যায়। মণিপুরের জাতিদাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দীর্ঘ দিন চুপ থাকলেও, মহিলাদের হেনস্থা করার ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর মুখ খুলেছেন তিনিও। কিন্তু বিরোধী দলগুলি এই ঘটনায় কাঠগড়ায় তুলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাকে। আর সেই বিষয়টি নিয়েই এ বার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নিন্দাপ্রস্তাব আনা হতে পারে।