পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও দেবাশিস কুমারকে ভবানীপুরের বাইরে বসেই সামলাতে হবে ভোটের দায়িত্ব। ফাইল চিত্র
রাত পোহালেই ভোট ভবানীপুরে। তাই সাজ সাজ রব তৃণমূল শিবিরে। কারণ, ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক দিন আগেই ঘরোয়া বৈঠক করে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কর্মীদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রের ভোটে ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নেতাদের। তাতে এমন কয়েকজন নেতা আছেন যাঁরা ভবানীপুরের ভোটার নন, অথচ দলীয় নির্দেশ ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁরাও দলের সঙ্গে কথা বলেই নিজেদের দায়িত্ব পালন করবেন ভবানীপুরের বাইরে বসেই।
রাজ্যের বর্ষীয়ান নেতা তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব। কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক তথা পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সর্বাধিক তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজের ওয়ার্ড ৮২-র পাশাপাশি ৭৪ ও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার। ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকবেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওয়ার্ড ৭৩ নম্বরের দায়িত্বে থাকবেন তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরহাদ ও কার্তিক উভয়ই ভবানীপুরের বাসিন্দা। কিন্তু সুব্রত-পার্থ-দেবাশিস যে হেতু ভবানীপুরের ভোটার নন, তাই বৃহস্পতিবার তাঁরা ওই এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। তাই সু্ব্রতবাবুকে গড়িয়াহাটের নিজের অফিসে বসেই ভোটের দায়িত্ব সামলাতে হবে। পার্থবাবু সকাল থেকে নিজের নাকতলার বাসভবন থেকেই ভোট পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবেন বলে জানা গিয়েছে। পরে বেহালা পশ্চিমে নিজের বিধায়ক কার্যালয় থেকেই ভোট সংক্রান্ত কাজ করবেন। এমন ভাবে দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে দেবাশিস বলেন, ‘‘এখন মোবাইলের যুগে এলাকার বাইরে থেকে বসেই কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। তাই ভোটের দায়িত্ব পালনে খুব একটা সমস্যা হবে না।’’