Pradhan Mantri Aawas Yojna

চারতলা বাড়ি, তবু নাম আবাস যোজনা প্রকল্পে

প্রশাসন সূত্রে খবর, যোগ্য উপভোক্তারা যাতে বাড়ি পান, তা দেখার জন্য প্রথম ধাপে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে সমীক্ষা করানো হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

খণ্ডঘোষ শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:১৯
Share:

খণ্ডঘোষে উপপ্রধানের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

গ্রামের মধ্যে চারতলা বাড়ি নেতার। পাশে আর একটি বাড়ি তাঁরই পরিজনের। অথচ, এই দুই বাড়ির চার সদস্যের নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে এমন ঘটনায় বেধেছে বিতর্ক। এ নিয়ে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।

Advertisement

খণ্ডঘোষের কেশবপুরে ওই বাড়ি দু’টি শাঁকারি ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের জাহাঙ্গির শেখ ও তাঁর পরিজনের। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ব্লকের আবাস যোজনার তালিকায় উপপ্রধানের স্ত্রী সীমা শেখ, দুই ভাই আলমনগির ও আজমগির এবং সদ্য প্রয়াত বাবা শেখ মহসিনের নাম রয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, চাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গিরদের আর্থিক অবস্থা আগে ভাল ছিল না। ২০১৮ সালে উপপ্রধান হওয়ার পরে তা পাল্টাতে শুরু করে। সে বছরই আবাস যোজনার জন্য সমীক্ষা করে প্রশাসন। তাতে জাহাঙ্গিরের স্ত্রী-সহ চার জনের নাম উপভোক্তার তালিকায় তোলা হয়।

প্রশাসন সূত্রে খবর, যোগ্য উপভোক্তারা যাতে বাড়ি পান, তা দেখার জন্য প্রথম ধাপে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে সমীক্ষা করানো হচ্ছে। সম্প্রতি সেই সমীক্ষার রিপোর্টেই উপপ্রধান ও তাঁর পরিজনদের বাড়ির বিষয়টি ধরা পড়ে। বিডিও (খণ্ডঘোষ) সত্যজিৎ কুমার বলেন, ‘‘রিপোর্ট পেয়ে প্রত্যেকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

উপপ্রধান অবশ্য কোনও অনিয়মের কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের এক সময়ে চালাঘর ছিল। তা দেখে প্রশাসনের কর্তারা হয়তো প্রকল্পে নাম তুলেছিলেন। তা নজরে আসতেই বিডিওকে ফোন করে নাম বাদ দিতে বলি।” এক পরিবারের চার জনের নাম তালিকায় উঠল কী ভাবে? উপপ্রধানের দাবি, তা তাঁর জানা নেই। পঞ্চায়েত প্রধান শিউলি খাঁয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ নিয়ে যা বলার, দলকে বলেছি।’’

বিজেপির খণ্ডঘোষের পর্যবেক্ষক খোকন সেন, সিপিএম নেতা বিনোদ ঘোষদের অভিযোগ, ‘‘পেল্লায় বাড়ি তৈরির পরেও গরিব মানুষদের বঞ্চিত করে সরকারি প্রকল্পের এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিতে হবে, এতটাই লোভ তৃণমূল নেতাদের!’’ তৃণমূলের খণ্ডঘোষ ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলামের যদিও বক্তব্য, ‘‘বেশ কয়েক বছর আগে তৈরি তালিকার জন্য কেন্দ্র এখন অনুমোদন দিয়েছে। আমাদের সরকারের আমলে অনেক গরিব পরিবারেরই উন্নতি হয়েছে। তা দেখতেই তো সমীক্ষা চলছে। কিন্তু আগের তালিকা ভুল ছিল, এটা বলা ঠিক নয়।’’

পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) কাজল রায় বলেন, ‘‘ত্রুটিমুক্ত তালিকা তৈরি করা হবে। যোগ্যদের নামই তালিকায় থাকবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement