Sukhendu Sekhar Roy

Hanskhali rape and murder: ‘আগে বাড়ির পরিবেশ ঠিক করতে হবে!’ হাঁসখালি ধর্ষণে নয়া ‘তত্ত্ব’ সুখেন্দুশেখরের

৫ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দু গোয়ালির ছেলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৩১
Share:

সুখেন্দুশেখর রায়। নিজস্ব চিত্র।

ধর্ষণের ঘটনা কমাতে এ বার নতুন ‘নিদান’ দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর বক্তব্য, দেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেশির ভাগই ঘটে বাড়ির লোক বা আত্মীয় পরিজনদের হাতে। তাই আগে বাড়ির পরিবেশ ঠিক করতে হবে। হাঁসখালি প্রসঙ্গে বুধবার এমনই ‘নিদান’ দিয়েছেন তিনি। বিরোধীরা সুখেন্দুর এই তত্ত্ব নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। তাদের বক্তব্য, হাঁসখালির ধর্ষণ-কাণ্ডকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লঘু করে দেখাতে চেয়ে ‘অসংবেদনশীল’ মন্তব্য করেছেন। সুখেন্দুর বক্তব্য তার সঙ্গেই এমন মন্তব্য বলে দাবি বিরোধীদের।

Advertisement

গত ৫ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালি থানার শ্যামনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দু গোয়ালির ছেলে সোহেলের বিরুদ্ধে। তীব্র যন্ত্রণা এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে পরে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়। প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার দেহ ‘জোর করে’ শ্মশানে দাহ করে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লভ অ্যাফেয়ার বলবেন... না কি শরীরটা খারাপ ছিল, না কি কেউ ধরে মেরেছে... আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটা কী? ঘটনাটা খারাপ। গ্রেফতার হয়েছে। মেয়েটার নাকি লভ অ্যাফেয়ার ছিল শুনেছি।’’

মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কি অসংবেদনশীল বলা যায়? সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে দেশে ৩৪ হাজার যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ ঘটেছে পরিবারের অভ্যন্তরে। আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের একটা চূড়ান্ত এটাকে বলা যেতে পারে। আমাদের সমাজ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে! যেখানে ৯৩ শতাংশ এই ধরনের জঘন্য, পাশবিক ঘটনা ঘটে পরিবারের মধ্যে, আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে কিংবা বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে। সুতরাং, এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত, সমালোচনা করা উচিত। কারণ আমার বাড়িতে যদি এ রকম পরিবেশ থাকে, এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে, তা হলে আমার উচিত হবে বাড়ির পরিবেশটাকে প্রথমে পরিষ্কার করা।’’ তাঁর দাবি, যে ভাবে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি চলছে, তা আরও নিন্দনীয়।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘নির্লজ্জতার একটা সীমা থাকা উচিত। বাংলায় নারীদের অসম্মান চলছে। সেটা বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন সেই সুরেই আবারও নির্লজ্জ আক্রমণ করা হচ্ছে বাংলার সংস্কৃতিকে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement