তৃণমূলের মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
প্রার্থিপদ না পেলে বিক্ষুব্ধদের নির্দল হয়ে দাঁড়ানো নতুন নয়। তবে এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে তেমন হলে সেই কর্মীদের ‘পিঠের চামড়া গুটিয়ে নেওয়া’ এবং ‘ঠ্যাং খোঁড়া করে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর আরও দাবি, ‘‘দলের কোনও শাখা সংগঠনের নেতা পঞ্চায়েতের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে বিভ্রান্ত হবেন না। এ ক্ষমতা তাঁদের নেই, আমারও নেই। তার জন্য দল আছে।’’
মাস চারেক আগে ব্লক সভাপতি পদ থেকে মহম্মদ ইসমাইলকে সরানো হয়। তার পর থেকে ইসমাইলের সঙ্গে বিরোধ তীব্রতর হয় সিদ্দিকুল্লার। একাধিক কর্মিসভায় একে অপরের বিরুদ্ধে নাম না করে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন তাঁরা। দলীয় কোন্দলেই এ বার মন্তেশ্বরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর প্রবণতা বাড়তে পারে, মনে করছেন তৃণমূলের একাংশ। বিধায়কের বার্তা সেই সম্ভাবনাকে মান্যতা দিচ্ছে। মেমারির বেগুনিয়ার কর্মিসভায় সিদ্দিকুল্লা শুক্রবার বলেন, ‘‘দলে প্রার্থী হতে না পেরে কোনও কর্মী নির্দল প্রার্থী হলে তাঁর পিঠের চামড়া উঠিয়ে দেব। সিপিএম প্রার্থী দেবে কি দেবে না, তারা বুঝবে। বিজেপি প্রার্থী তার দল বুঝবে। কিন্তু আমার দলের ছেলে প্রার্থী হতে পারল না বলে, নির্দলে দাঁড়ালে, তার ঠ্যাং ভেঙে দেব বলে দিলাম।’’ পরে অবশ্য আর ফোন ধরেননি তিনি। মেসেজেরও জবাব দেননি।
বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ পোদ্দারের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলে কর্মীদের উপরে নেতাদের আস্থা নেই। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও মন্ত্রীর মধ্যে যে ভাবে কাদা ছোঁড়াছুড়ি হচ্ছে, তাতে নির্দল প্রার্থী হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।’’ তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ধরনের কথা যদি বলে থাকেন, তা ঠিক হয়নি। কোনও কর্মী নির্দল প্রার্থী হলে তিনি আর দলের কেউ নন।’’