নিহত তৃণমূল নেতা নির্মল কুণ্ডু। নিজস্ব চিত্র।
ভর সন্ধ্যায় তৃণমূলের নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় নির্মল কুণ্ডু নামে ওই তৃণমূল নেতার। বছর চল্লিশের নির্মল উত্তর দমদম পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি।
পটনা ঠাকুরতলা এলাকার বাসিন্দা নির্মল। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে কয়েকটা বাড়ি পরেই একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। সেই সময়ই আচমকা একটি বাইকে করে দু’জন এসে তাঁর সামনে দাঁড়ায়। তার পরই খুব কাছ থেকে নির্মলকে পর পর গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাদের প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ছিল। গুলি করার পরই বাইক নিয়ে চম্পট দেয় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলির আওয়াজ শুনেই তাঁরা ছুটে আসেন। তখন দেখেন নির্মল কুণ্ডু রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের পথে গজলডোবা? মমতার স্বপ্ন প্রকল্পের জমি ঘিরে আন্দোলন কৃষকদের
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীরা দু’ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। নির্মল বাবুর মাথায় গুলি লাগে।
উত্তর দমদম ও নিমতা এলাকায় তৃণমূলের ‘ভোট ম্যানেজার’ নির্মল বাবু, দলীয় স্তরে এমনটাই দাবি করা হয়। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ নেতা বলেও পরিচিত তিনি। এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপি এই অভিযোগকে পুরোপুরি খারিজ করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল।
আরও পড়ুন: ৬০ হাজার কোটির ‘দামি’ নির্বাচনের সাক্ষী থাকল ভারত!
নিমতা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানা যায়নি।
অন্য দিকে, ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ আলাদা ভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনও সূত্র মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে বাইকের বিবরণ সংগ্রহ করে খুনিদের খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।