অনেক দিন পরে মুকুল এলেন তৃণমূল দফতরে। — ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তে একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা যে ভাবে কাজ করছে, তার কোনও প্রভাব রাজ্য রাজনীতিতে পড়বে না বলেই মনে করেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। সোমবার মুকুল জানান, এ সব তদন্ত এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তৎপরতা ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না। তাঁর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশিতে কারও রাজনৈতিক ফায়দা হবে না।’’
অনেক দিন পর সোমবার তৃণমূল ভবনে এসেছিলেন মুকুল রায়। নীলবাড়ির লড়াই শেষে গত বছরের ১১ জুন বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরার দিন এখানে এসেছিলেন তিনি। পরে নতুন জায়গায় গিয়েছে তৃণমূলের রাজ্য দফতর। সেই বাড়িতে দফতর স্থানান্তরের দিন (অক্ষয় তৃতীয়ায়) কিছু ক্ষণের জন্য গেলেও তৃণমূলে ফেরার পরে এই প্রথম সাংগঠনিক কাজে মুকুল গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সঙ্গে সোমবার মুকুল বৈঠক করেন বলে জানা যায়। কী বিষয়ে বৈঠক হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের বুথ কর্মী সম্মেলনে মুকুল যোগ দিতে পারেন। তবে দীর্ঘ দিন নিষ্ক্রিয় থাকা কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক ফের শাসক শিবিরের হয়ে সক্রিয় হবেন কি না তা জানা যায়নি।
আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। অতীতে তৃণমূলের হয়ে অনেক পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুকুলকে ‘সেনাপতি’র ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। তবে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাঁকে তেমন কোনও ভূমিকায় দেখা যাবে কি না তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের কোনও নেতা। খাতায়কলমে মুকুল এখনও বিজেপি বিধায়ক। বিধানসভায় এমনটাই দাবি করে তৃণমূল। তাই তাঁকে নির্বাচনের কাজে মাঠে, ময়দানে আদৌ দেখা যাবে কি না তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এলেও মঞ্চে ওঠেননি। দর্শকাসনেই জায়গা হয়েছিল তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।