ছবি রাজ্যপালের টুইটার থেকে।
সারদা-নারদ কেলেঙ্কারিতে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের আট প্রতিনিধির দীর্ঘ বৈঠক ‘ইতিবাচক’ হয়েছে বলে জানালেন শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
রাজভবন থেকে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের কুণাল বলেন, ‘‘বহু বছর পর রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের দীর্ঘ বৈঠক হল। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক কারণে অপপ্রয়োগ করছে বিজেপি। এ কথা রাজ্যপালকে জানিয়েছি আমরা। যাঁরা বিজেপিতে গিয়ে নাম লেখাচ্ছেন, তাঁদের নিয়ে তদন্ত হচ্ছে না। বিজেপি গণতন্ত্র বিরোধী চক্রান্ত করছে। এ কথা বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। সুদীপ্ত সেনের (সারদা কর্ণধার) লিখিত বিবৃতিতে এমন নেতার নাম রয়েছে, যিনি পরবর্তী সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।’’
শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘নারদ মামলায় তৃণমূলের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা হয় না। বিজেপি যেন ওয়াশিং মেশিন! বিজেপি অফিসে স্ক্রিন লাগিয়ে বলা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হোক। আর বিজেপিতে যাওয়ার পর গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বলছে ২০২৪ সালে সরকার ফেলে দেবে। রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত করছে। বিজেপিতে গেলেই তদন্তের বাইরে। আমরা রাজ্যপালকে জানিয়েছি, রাজ্যে বিজেপির জনভিত্তি নেই।’’
রাজ্যপালকে দেওয়া তৃণমূলের স্মারকলিপি।
রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে প্রসঙ্গে কুণাল আরও বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন বাদে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপালও উৎসাহ দেখিয়েছেন। উনি ওঁর কথা বলেছেন, আমরা আমাদের। আগামী দিনে আলোচনা জারি থাকবে।’’ তাহলে কি শাসকদলের সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্ঘাতে ইতি পড়ল? তৃণমূল প্রতিনিধিদের দাবি, সঙ্ঘাত কারও সঙ্গে নেই। রাজ্যপাল সবার ঊর্ধ্বে।
অন্য দিকে, ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। রাজ্যপালের কাছে আমরা সুবিচার চেয়েছি। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আগামী দিনে এই আলোচনা জারি থাকবে।’’