BSF

TMC on BSF: রাজ্যের এক্তিয়ারে পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো, বিএসএফ-নীতি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলের

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিকা জারির পরই বিরোধিতা। টুইট করে ‘অযৌক্তিক’ নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২১ ১১:৫৭
Share:

রাজ্য়ের এক্তিয়ারে হস্তক্ষেপের দাবি কুণাল ঘোষের। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

পশ্চিমবঙ্গ-সহ তিন রাজ্যে বিএসএফ-এর হাতে গ্রেফতারি, তল্লাশি ও বাজেয়াপ্তের বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চাপানউতর। এ বার এর বিরুদ্ধে গলা মেলাল তৃণমূলও। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, এটা রাজ্যের অধিকারে পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো।

Advertisement

বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা জারি হয়। তার পরই এর বিরোধিতায় সরব হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বুধবার সন্ধ্যায় টুইট করে ‘অযৌক্তিক’ নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী। রাত পোহাতে একই ভাবে মুখ খুলল বাংলার শাসক দল তৃণমূলও।

বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে ভাবে বিএসএফ-এর কর্মক্ষেত্র সীমান্ত থেকে ১৫ কিমির বদলে বাড়িয়ে ৫০ কিমি করল, তা প্রতিবাদযোগ্য। এটা রাজ্যের অধিকারভুক্ত এলাকায় পিছনের দরজা দিয়ে নাক গলানো। তৃণমূল বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে।’

Advertisement

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটি অংশের মতে, নর্থ ব্লকের নয়া নির্দেশিকার জেরে বিরোধী শাসিত রাজ্যে সমস্যা বাড়বে। কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য সরকারের উপর বর্তায়। সেখানে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে বিএসএফ গ্রেফতারি বা বাজেয়াপ্তের মতো পদক্ষেপ করলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাঁদের মতভেদের সম্ভাবনা আরও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গেও বিএসএফ-এর গোলমাল বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা একটি অংশের। সব মিলিয়ে বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি রাজনীতির উত্তাপ এক ধাক্কায় আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement