সাংগঠনিক ভাবে হাওড়া, হুগলি এবং বীরভূম জেলার দায়িত্বে রয়েছেন ফিরহাদ। ফাইল চিত্র।
আগামী পঞ্চায়েত ভোটে দলের রাজনৈতিক জমি মজবুত করতে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত তিন জেলার সফরে যাবেন ফিরহাদ হাকিম। সব ঠিকঠাক চললে চলতি মাসের শেষের দিকেই মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা সফরে যেতে পারেন তিনি। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার মেয়রকে এই তিন জেলা সফরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে নিজের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে এই তিন জেলা সফরে গিয়ে প্রকাশ্য জনসভার পাশাপাশি, জেলার নেতাদের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক করবেন পুরমন্ত্রী।
তৃণমূলের সংগঠনে যখন পর্যবেক্ষক পদ ছিল, তখন মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার দায়িত্ব ছিলেন ফিরহাদ। কিন্তু বর্তমানে তেমন পদ আর তৃণমূলের সংগঠনে নেই। তবে সাংগঠনিক ভাবে হাওড়া, হুগলি এবং বীরভূম জেলার দায়িত্বে রয়েছেন ফিরহাদ। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের অন্যতম সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদকেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ভাবে পরাজিত হতে হয়েছে তৃণমূলকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটের ওপর তৃণমূলের যে আধিপত্য দেখা গিয়েছিল, তা এই উপনির্বাচনে উধাও হয়ে গিয়েছে। বরং সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসিয়েছে কংগ্রেস।
সেই ভোট আবার ফিরে পেতে তাই দলের সংখ্যালঘু শীর্ষ নেতাকেই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল। ইদ উৎসবের পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই তিন জেলার সফরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার থেকেই তাঁর যে জনসংযোগ যাত্রা শুরু হচ্ছে, সেই যাত্রার মধ্যে দিয়েই তিনি রাজ্যের সব জেলা ছুঁয়ে যাবেন। আপাতত দুই মাস তাই পৃথক ভাবে কোনও জেলা সফর নেই অভিষেকের। বদলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত তিন জেলায় ফিরহাদকে পাঠিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের রাজনৈতিক জমি পাকা করাই লক্ষ্য তৃণমূল নেতৃত্বের। ১৪ এপ্রিল সিউড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জনসভার পরে ১৬ এপ্রিল পাল্টা সভা করতেও ফিরহাদকেই দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল।