বিজেপি-র বক্তব্যের সমালোচনা করলেন ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র
করোনার তৃতীয় ঢেউ বড় আকার নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে অক্টোবর মানে উৎসবের মাস। তাই এখনই রাজ্যে উপনির্বাচন সেরে ফেলা উচিত বলে দাবি তৃণমূলের। বৃহস্পতিবারই এ নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে দরবার করেছে বাংলার শাসক দল। আর শুক্রবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, ‘‘এখন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকায় ভোট পর্ব মিটিয়ে ফেলা উচিত। বিজেপি যেটা করতে চাইছে সেটা অসাংবিধানিক।’’
রাজ্যের মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হওয়ার কথা। প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে জঙ্গিপুর ও শামসেরগঞ্জে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোটগ্রহণ হয়নি। ভোটে জিতলেও ফল ঘোষণার আগেই করোনায় মারা যান খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পরে মারা যান গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ ছেড়েছে বিজেপি। আবার ভবানীপুর জিতেও বিধায়ক পদ ছেড়েছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে সকলের নজর ভবানীপুরের দিকে। কারণ, তৃণমূলের ঘোষণা মতো ওই আসনে প্রার্থী হবেন মমতা। অন্য দিকে, গেরুয়া শিবির ৫ নভেম্বরের আগে উপনির্বাচন চাইছে না।কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। আর সেই ছয় মাস পূর্ণ হচ্ছে ৫ নভেম্বর।
নির্বাচন কমিশনের কাছে বারবার উপনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবারের আগে জুলাই মাসেও একবার কমিশনে গিয়েছিলেন শাসক দলের সাংসদেরা। আবার বাংলার বিজেপি নেতারা দিল্লির নেতাদের কাছে চিঠি দিয়ে বলেছেন,‘বাংলায় এখনই ভোট নয়’ জানিয়ে কমিশনে দরবার করা হোক। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার ফিরহাদ বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচন যখন হয়েছিল তখন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনকার তুলনায় অনেক খারাপ ছিল। সেই সময় বিজেপি-র কথাতেই আট দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল রাজ্যে। আর তাতেই করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়।’’ তবে ফিরহাদই প্রথম নন, এর আগে খোদ মমতাও এখনই উপনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।