Nandigram

Nandigram: বিজেপি-র লোকজন নিয়ে বৈঠক হচ্ছে, আমরা বাদ! নন্দীগ্রামে তৃণমূলের বিক্ষোভ দোলাকে ঘিরে

তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন অবশ্য কোনও বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে কোনও বিক্ষোভ হয়নি। এখানে এসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২২ ১৭:২১
Share:

দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে দোলা সেন। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বৈঠকে যাঁদের ডাকা হয়েছে, তাঁরাই বিজেপি-র পতাকা নিয়ে বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন। অথচ বাদ পড়েছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মীরা। যদিও কোনও বিক্ষোভের কথা মানতে চাননি দোলা।

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম বাজারে সাংগঠনিক বৈঠকে ডাক না পাওয়ায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের ও তাঁর অনুগামীরা। সেই সময় সেখানে উপস্থিত হন সাংসদ দোলা সেন। তখন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ঘিরে ধরা হয় দোলার গাড়ি। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
তাহের বলেন, ‘‘আজ নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যাঁদের ডাকা হয়েছে, তাঁরাই বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপি-র পতাকা কাঁধে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন। আর আমরা বাদ পড়ে গেলাম! যখন তা নিয়ে বিক্ষোভ করলাম, তখন আমাদের বৈঠকে ডাকা হল। এটা ঠিক নয়।’’ তাহেরের সংযোজন, ‘‘আমরা সুশৃঙ্খল ভাবে দলটা করব। কলকাতায় গিয়ে দিদিকে সব জানাব।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয়, নন্দীগ্রাম ১ নম্বরের তৃণমূল কার্যালয়ে, বিধানসভা এলাকার নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তাতে তাহের-সহ একাধিক প্রথম সারির নেতা ডাক পাননি বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে সকালে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা ব্লক সভাপতি স্বদেশ দাসের অপসারণ চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। তৃণমূলের অন্দরের লোকেরা বলছেন, স্বদেশ নন্দীগ্রামে আবু সুফিয়ান গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ। তাহের শিবিরের অভিযোগ, সুফিয়ানের লোকজনের জন্যই নন্দীগ্রামে নেত্রীকে হারতে হয়েছে। তার পরও সেই নেতাদের প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন নেতৃত্ব। সুফিয়ান শিবিরের কর্মকাণ্ড নিয়ে কালীঘাটে দলনেত্রীর কাছে নালিশ জানাবেন বলেও তাহের জানিয়েছেন। সেই সময়ই কার্যালয়ে পৌঁছন দোলা, এবং বিক্ষোভের মুখে পড়েন। যদিও দোলার দাবি, “নন্দীগ্রামে কোনও বিক্ষোভ হয়নি। এখানে এসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement