—প্রতীকী ছবি।
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল দেগঙ্গায়। কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বন্দুক হাতে দাপাদাপি করতে দেখা যায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের দাদা হাসান রেজা চৌধুরীকে।
রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের গোসাঁইপুর গ্রামে। গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ আসে। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা। গাড়ির কাচ ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে থানার সামনেও বিক্ষোভ চলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের দীর্ঘ বিবাদ চলছে। এ দিন সকালে রাজ্জাকের এক অনুগামী সহিদুল ইসলামের বাড়িতে লাঠি-বন্দুক নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে হুমায়ুন রেজা চৌধুরী ও তাঁর ভাইদের বিরুদ্ধে। দুই মহিলা-সহ ৩ জন আহত হন।
অভিযোগ, একজনকে পুলিশ ধরে গাড়িতে তুললে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধানের অনুগামীরা। পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে কিছু লোক। পরে অবশ্য পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে থানায় আনে। প্রধান বলেন, ‘‘আমাদের এক অনুগামীকে শনিবার রাতে মারধর করা হয়। জানা যায়, অভিযুক্ত লুকিয়ে আছে অঞ্চল সভাপতির অনুগামী সহিদুল ইসলামের বাড়িতে। এই খবর পেয়ে এ দিন সকালে উত্তেজিত জনতা ওই ব্যক্তিকে খুঁজতে যায়। সে সময়ে আমার দাদা পাখিমারা বন্দুক নিয়ে ফিরছিলেন। গোলমালের মধ্যে ছিলেন না।’’ অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘‘প্রধান এবং তাঁর লোকজন আমার অনুগামীর বাড়িতে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। হাসান রেজা-সহ চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।’’ মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রধান।