লোকসভা ভোটের আগে দ্বিতীয় দফায় হতে পারে অভিষেকের নব জোয়ার যাত্রা। ফাইল চিত্র।
উৎসবের মরসুম কেটে গেলেই শুরু হতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি। মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য জুড়ে নব জোয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই সময় তৃণমূল নব জোয়ার নামে একটি টুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডল তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানেই আবারও অভিষেকের নব জোয়ার কর্মসূচির একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। তাতেই রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ওঠে যে শীঘ্রই শুরু হতে পারে অভিষেকের দ্বিতীয় দফার নব জোয়ার যাত্রা। তবে অভিষেকের ঘনিষ্ঠমহল জানাচ্ছে, ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ এই কর্মসূচিকে নব জোয়ার কর্মসূচি বলতে চাইছেন না। তাই রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, নাম পৃথক হলেও ওই কর্মসূচির ধাঁচেই জনসংযোগ করতে পারেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
অভিষেকের দফতর সূত্রে খবর, আগামী লোকসভা ভোটের আগে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করেই নির্বাচনের জমি চষতে নামবেন তিনি। তবে সেই কর্মসূচি শুরু হতে পারে উৎসবের মরসুম শেষ হওয়ার পরে। এ বছর উৎসবের মরসুম শুরু হবে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে। তাই কালীপুজো তথা দীপাবলি শেষ হতে হতে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি। তাই মনে করা হচ্ছে, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ কিংবা ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হতে পারে এই কর্মসূচি।
প্রসঙ্গত, এ বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে নব জোয়ার কর্মসূচি দিয়ে রাজ্যের সব জেলাকে ছুঁয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সেই কর্মসূচির প্রভাবেই পঞ্চায়েত ভোটে বিজয়কেতন উড়িয়েছিল শাসকদল। তাই লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার সেই ধাঁচে কর্মসূচির পুনরাবৃত্তি ঘটলে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ভাল ফল করতে পারে তৃণমূল। কারণ, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের বেশির ভাগ জেলা তৃণমূল জিতলেও, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেয়েছিল বাংলার শাসকদল। তাই এ বার লোকসভা ভোটের আগে অনেক বেশি সচেতন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই উৎসবের মরসুম কেটে গেলেই নতুন কর্মসূচি নিয়ে আবারও রাজ্যের জনতার দ্বারস্থ হবেন অভিষেক।
তবে তার আগে অভিষেকের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ২ অক্টোবর দিল্লির কর্মসূচি। যেখানে অংশ নিতে দিল্লি যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন অভিষেক। অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি, দলীয় কর্মসূচির প্রস্তুতিতেও নজর রয়েছে তাঁর। তবে এখনও দিল্লিতে কর্মসূচি করার অনুমতি পায়নি তৃণমূল। অনুমতি না পাওয়া গেলেও, বিকল্প কর্মসূচি ঘোষণা করে দিয়েছেন তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা ও প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, তারা মহাত্মা গান্ধীর জন্ম জয়ন্তীতে তাঁর সমাধিস্থলে গিয়ে প্রার্থনা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাধিপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা প্রার্থনায় শামিল হবেন। পাশাপাশি, গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গেও সাক্ষাতের আবেদন জানিয়ে সময় চাওয়া হয়েছে ওই দিন।