BJP

সি আর পার্কে মাছের বাজার নিয়ে ‘আপত্তি’

নবরাত্রি-রামনবমীর উৎসবকে ঘিরেও বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি করছে বলে বারবার দাবি করেছেন বিরোধীরা। দিল্লির বাসিন্দাদের একাংশের মতে, আপ জমানার পরে মাস তিনেক হল বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৩৪
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে (সি আর পার্ক) একটি মন্দিরের পাশে মাছের বাজার নিয়ে আপত্তি জানানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দাবি, চিত্তরঞ্জন পার্কে মাছ খান যে বাঙালিরা তাঁদের হুমকি দিয়েছে বিজেপির গেরুয়া ব্রিগেড। ৬০ বছরে কখনও এমন হয়নি বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক দল যুবক দাবি করছেন মন্দিরের পাশে মাছের বাজার থাকায় মন্দিরের শুদ্ধতা নষ্ট হচ্ছে। এক ব্যক্তি তাঁদের পাল্টা জানাচ্ছেন, বাজার তৈরির পরে বাজারের বিক্রেতারাই মন্দির তৈরি করেন। অন্য এক জনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, অসমের কামাখ্যা মন্দিরেও বলি হয়। তাতে ওই যুবকদের এক জন বলছেন, সেখানেও প্রতিবাদ করা হচ্ছে। বাজার বসানো নিয়ে দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ‘ভুলত্রুটি’ও শোধরানো হবে বলে দাবি করছেন তাঁরা। আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ের বক্তব্য, ‘‘যা আজ চিত্তরঞ্জন পার্কে ঘটছে তা কাল বঙ্গেও ঘটতে পারে।’’

নবরাত্রি-রামনবমীর উৎসবকে ঘিরেও বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি করছে বলে বারবার দাবি করেছেন বিরোধীরা। দিল্লির বাসিন্দাদের একাংশের মতে, আপ জমানার পরে মাস তিনেক হল বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছে। তার পরেই চিত্তরঞ্জন পার্কের মতো বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাতেও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেল।

মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য, ‘‘চিত্তরঞ্জন পার্কের যে মন্দির বিজেপির গুন্ডারা দখল করতে চাইছে সেই মন্দিরটি ওই বাজারের আমিষ বিক্রেতারাই তৈরি করেন। সেখানে তাঁরা প্রার্থনা করেন। বড় বড় পুজো হয়। দিল্লিতে বিজেপি সরকারের তিন মাস পূর্তিতে তারা ভাল উপহার দিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন