ছবি: সমাজমাধ্যমে তৃণমূলের পোস্ট।
সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে রাজ্য জুড়ে সরব হয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বারাসতের সভায় গিয়ে তা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খবর, কয়েক জন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই আবহে নারী দিবস উপলক্ষে তৃণমূলের মিছিলে দেখা গেল সন্দেশখালির কয়েক জন মহিলাকে! অন্তত তেমনটাই দাবি করছে শাসকদল। তাদের দাবি, শুধু মিছিলে যোগ দেওয়াই নয়, পদযাত্রা শেষে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেছেন সন্দেশখালির মহিলারা।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সেই উপলক্ষেই বৃহস্পতিবার মিছিল ডেকেছিল মহিলা তৃণমূল। সেই মিছিলে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হেঁটেছেন অভিষেক। কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত সেই মিছিল শেষে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তাও দেন মমতা। তৃণমূল জানিয়েছে, এর পরেই সন্দেশখালি থেকে আসা মহিলাদের সঙ্গে দেখা করেন সেনাপতি অভিষেক। শাসকদলের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ নামক একটি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে সেই সাক্ষাতের ছবিও পোস্ট করা হয়।
লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির ঘটনাকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। ভোট ঘোষণার আগে রাজ্যে এসে মোদী ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য সরকার তথা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন। সন্দেশখালির জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় দাঁড়িয়ে সেই আক্রমণ আরও ধারালো করে তোলার চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হুঁশিয়ারি, সন্দেশখালির ‘ঝড়’ গোটা রাজ্যে উঠবে। সেই সভায় সন্দেশখালির কয়েক জন মহিলাকে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। পদ্মশিবির সূত্রে খবর, বক্তৃতা সেরে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে সন্দেশখালির পাঁচ জন মহিলার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছে। নিজেদের অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে সন্দেশখালির বাসিন্দারা জানান, পুলিশের উপরে তাঁদের কোনও ভরসা নেই। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দেন, কেন্দ্রীয় সরকার সব রকম সহযোগিতা করতে তৈরি আছে।
বৃহস্পতিবারের মিছিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতাও পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাংলা যে মহিলাদের জন্য সুরক্ষিততম, কলকাতা যে অন্যতম নিরাপদ শহর, তা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। বাংলার উপর এত রাগ কেন? মণিপুরে যখন মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানো হচ্ছিল কোথায় ছিলেন? হাথরসে যখন ধর্ষণের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হল, তখন কোথায় ছিলেন?’’ এর পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘‘কত জায়গায় বিজেপির নেতাদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছেন মা-বোনেরা। তারা ভয়ে কিছু বলতে পারে না। কিন্তু বাংলার মেয়েরা কথা বলতে জানে। বাংলায় কিছু হলে মহিলারা তেড়েফুড়ে ওঠে, আমি এটা পছন্দ করি।’’