বৃহস্পতিবার এক প্রতিবাদ সভায় তৃণমূল কাউন্সিলর রিনা দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত ভুল গওয়ার অভিযোগ ওঠে।
রবিবার কাঁথিতে জনসভা করে তৃণমূলের জাতীয় সঙ্গীত ভুল গাওয়ার প্রতিবাদে ক্ষমতা চাইলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাই রবিবার কাঁথি শহরেই সভা করে ক্ষমা চাইলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবাদ সভায় তৃণমূল কাউন্সিলর রিনা দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত ভুল গওয়ার অভিযোগ ওঠে। তারই পাল্টা সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘অর্ধশিক্ষিত, দেশদ্রোহীরাই এমন কাজ করেন। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা তো করেইছেন। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভুমি কাঁথির নামটাও গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গিয়েছে। সবাই বলছে, কাঁথিতে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষেই জাতীয় সঙ্গীতের এই অপমান সম্ভব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা স্বদেশপ্রেমী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি। বহুত্ববাদে বিশ্বাস করি। দেশ আমাদের কাছে সবচেয়ে আগে। আমরা ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকা ও ভারত মায়ের ছবির সামনে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে এই অবমাননার জন্য ক্ষমা চাইলাম।’’
উল্লেখ্য, কাঁথি শহরে শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূল দ্বৈরথ এখন আর কোনও নতুন বিষয় নয়। বৃহস্পতিবার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিল তৃণমূল। মিছিল শেষে সভা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেই সভাতেই ঘটে বিপত্তি। সভায় হাজির ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার সময় তাঁর উপস্থিতিতেই জাতীয় সঙ্গীত গান জেলার নেতা-নেত্রীরা। মাইক ছিল সদ্য নির্বাচিত কাউন্সিলর রিনা দাসের হাতে। আর তিনিই ভুল সুরে গেয়ে ওঠেন জাতীয় সঙ্গীত। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নেটাগরিকদের ট্রোলের শিকার হন তৃণমূলের ওই কাউন্সিলর। পরে জাতীয় সংগীতের অবমাননা করার জন্য কাঁথি থানায় মামলা দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতার ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী।