ফাইল চিত্র।
আমপানে বাড়িঘর অক্ষত থাকলেও ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকছিল মথুরাপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হামিদা বিবি মোল্লা, তাঁর স্বামী ফারুক এবং নাবালক ছেলের নামে। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসক দলের নেতারা। টাকা যদিও ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি ফারুকদের। কিন্তু দলীয় ভাবে হামিদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। শুধু হামিদাই নন, ওই এলাকায় যে সব জনপ্রতিনিধি বেআইনি ভাবে টাকা নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে, সকলের ক্ষেত্রেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
রবিবার বিকেলে রায়দিঘির দলীয় কার্যালয়ে সভা ডাকে তৃণমূল। ঠিক হয়েছে, দলের যে সব নেতানেত্রী অন্যায় ভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছেন, সেই নামের তালিকা তৈরি করে জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে। এ দিন বৈঠকে হাজির ছিলেন ব্লক তৃণমূল নেতা শান্তনু বাপুলি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সরকারি নির্দেশ না মেনে যাঁরা ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছেন, তিনি পঞ্চায়েত প্রধান বা সভাপতি যে-ই হোন না কেন, সকলের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
হামিদা এ দিন বলেন, ‘‘তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুল হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত দিয়েছি।’’ বিজেপি নেতা অলোক হালদার অবশ্য বলেন, ‘‘ জনরোষ দানা না বাঁধলে এ সব ঘটনা সামনেই আসত না।’’ প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, দোষ প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।