Mamata Bandyopadhyay

সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি শুরু তৃণমূলের, যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মেঘালয় ও ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে যাওয়া যাচ্ছে। তাই কমিশনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই সেই উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:০৫
Share:

জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ব্যস্ত কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।

গত বছর ডিসেম্বর মাসের ২৯ তারিখে প্রয়াত হয়েছেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য তথা সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা। মেঘালয় ও ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। তাই কমিশনের দিন ক্ষণ ঘোষণার আগেই সেই উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল। জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা, সেই মর্মের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। দলের এই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আসতে পারেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

সোমবার সাগরদিঘিতে এসে একটি প্রশাসনিক বৈঠক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। এক দিনের ঝটিকাসফরে আসতে পারেন তিনি। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ব্যস্ত কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এক দিকে যেমন মেঘালয়ের ভোটপ্রচারে যাবেন তিনি, তেমনই উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারেও জনসভা করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মাঝে কোনও এক সময় সাগরদিঘি বিধানসভার জন্য সময় দিতে পারেন মমতা।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে তৃণমূলের পক্ষেই থেকেছে সাগরদিঘি বিধানসভা। ওই বছর কংগ্রেস তৃণমূল জোটে মুর্শিদাবাদ জেলায় মাত্র চারটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল মমতার দল‌। যার মধ্যে ছিল সাগরদিঘিও। কিন্তু ওই চার আসনে তৎকালীন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী নির্দল প্রার্থীর দাঁড় করিয়েছিলেন কংগ্রেসের তরফে। বাকি তিন আসলে ভোট কাটাকাটির অঙ্কে বাম প্রার্থীরা জিতে গেলেও, সাগরদিঘিতে জয় পেয়েছিলেন প্রয়াত সুব্রত।

Advertisement

২০১৬ ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও জয় পেয়েছিলেন তিনি। রাজ্য মন্ত্রিসভাতেও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন সুব্রত। তাই সেই আসনটি উপনির্বাচনে জিততে খুব একটা অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছে জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আর উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগী হয়ে সাগরদিঘিতে আসা তাদের অতিরিক্ত পাওনা বলেই ধরছেন ওই জেলার তৃণমূলের নেতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement