প্রতীকী ছবি
শুধু চুনোপুঁটি নয়। ভাবমূর্তি উদ্ধারে এ বার তার উপরতলায় হাত দিচ্ছে তৃণমূল।
দলীয় সিদ্ধান্ত মতো শুদ্ধকরণ অভিযানে শনিবার আসানসোলের ডেপুটি মেয়র তবসসুম আরাকে ‘শো কজ়’ করেছে জেলা তৃণমূল। সেই সঙ্গেই আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আরও দুই কাউন্সিলর বেবি খাতুন ও শঙ্কর চক্রবর্তীকেও শো কজ় করা হয়েছে। লকডাউনের সময় ত্রাণ বিলিতে অস্বচ্ছতার অভিযোগ ওঠায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আসানসোলে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের আর এক নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কেও শো কজ় করা হয়েছে। প্রভাতবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করার নামে ডিএসপি-র ঠিকাকর্মীদের থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা তুলেছেন তিনি। অথচ, সেই টাকা শ্রমিকদের নামে দান না-করে নিজের ‘অস্তিত্বহীন’ সংগঠনের নামে দান করেছেন। চার জনই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পূর্ব বর্ধমানের আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি ইফতিকার আহমেদ-সহ তিন নেতাকে শো কজ় করেছেন জেলা নেতৃত্ব।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ও পাত্রসায়র ব্লকের দুই তৃণমূল সভাপতি শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়, পার্থপ্রতিম সিংহ ও তালড্যাংরা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি তাপস শূরকে শো কজ় করেছে জেলা তৃণমূল। বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল জানিয়েছেন, ‘‘শ্যামবাবু, পার্থপ্রতিম ও তাপসের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ জানানো হয়েছে। দু’দিনের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে।” রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের পুরপ্রশাসক শ্যামবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দলের তরফে দেওয়া করোনা-ত্রাণের খাবার নিজের ছেলের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নামে বিলি করার।
পাত্রসায়র পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্থপ্রতিমবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বালি পাচার করা একটি ট্রাকের চালককে পুলিশের হাত থেকে ছাড়াতে প্রভাব খাটানো এবং এলাকায় রেশন বিলিতে ‘হস্তক্ষেপ’ করার।
তিন নেতাই অভিযোগ অস্বীকার করে শনিবার দাবি করেন, শো-কজ়ের চিঠি তাঁরা পাননি। শ্যামবাবু বলেন, “দল আমাকে ত্রাণ বিলি করার জন্য কোনও খাদ্যদ্রব্যই দেয়নি। নিজের উদ্যোগে লক্ষ লক্ষ টাকার খাদ্যদ্রব্য করোনা-পরিস্থিতিতে মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছি।’’
আরও পড়ুন: বর্ষা যেন ‘দুরন্ত এক্সপ্রেস’
উত্তরবঙ্গেও মালদহ, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে একাধিক নেতা ও পদাধিকারীকে শো-কজ় করা হয়েছে।
তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ এ দিন বলেন, ‘‘আমপানের ক্ষতিপূরণে যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল সরকার জানাক।’’