‘চোখে চোখ রেখে’ ধর্মঘট, বিপক্ষে তৃণমূল

আগামী ৮ জানুয়ারি, বুধবার দেশ জুড়ে ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:১৬
Share:

হাতে মশাল: এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে এবং ৮ জানুয়ারি সারা ভারত ধর্মঘটের সমর্থনে ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত শ্রমিক সংগঠনগুলির মিছিল। —ফাইল চিত্র।

সাধারণ ধর্মঘটের দিন যত কাছে আসছে, শাসক তৃণমূল ও বিরোধী বামেদের মধ্যে সংঘাতের পারদ তত চড়ছে। তাঁরা শান্তিতেই ধর্মঘট করবেন কিন্তু জোর করে তা ভাঙার চেষ্টা করলে ‘চোখে চোখ রেখে লড়াই’ হবে এ বার হুঁশিয়ারি দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম আবার পাল্টা জানালেন, ধর্মঘটের বিষয়কে তাঁরা সমর্থন করেন। কিন্তু ‘বন্‌ধের বন্ধ্যা সংস্কৃতি’র তাঁরা বিপক্ষে।

Advertisement

অর্থনীতিতে মন্দা, কর্মসংস্থানের বেহাল দশা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বন্ধের প্রতিবাদে এবং সেই সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জির (এনপিআর) বিরোধিতায় আগামী ৮ জানুয়ারি, বুধবার দেশ জুড়ে ২৪ ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। একই দিনে গ্রামীণ ভারত ধর্মঘট ডেকেছে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনগুলি। সিপিএম, কংগ্রেস-সহ ২০টি দল এ রাজ্যে ওই ধর্মঘটকে সমর্থন করছে। সিপিএমের দৈনিক মুখপত্রের ৫৪তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে শুক্রবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে সূর্যবাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কেন্দ্রের সরকার ৩৬৫ দিন যা সব বন্ধ করে দিচ্ছে, তা খোলার দাবিতে এক দিন বন্‌ধ করছেন শ্রমিকেরা। প্রধানমন্ত্রী নিজের স্কুল-কলেজের পড়াশোনার কাগজ দেখাতে পারবেন না অথচ আমাদের কাগজ দেখাতে বলছেন! এ সবের প্রতিবাদেই ধর্মঘট।’’ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও ফ্রন্ট ও সহযোগী ১৭টি দলের পক্ষে ধর্মঘট সফল করার ডাক দিয়েছেন।

আরও পড়ুন-ভাবমূর্তিতেই টিকিট পুরভোটে, কলকাতায় বার্তা দিল তৃণমূল

Advertisement

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সূর্যবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর এখন সব চেয়ে বড় পরীক্ষা ৮ তারিখ। ধর্মঘটের দিন ওঁরা কী করেন, দেখে নিতে হবে। শান্তিপূর্ণ ধর্মঘট জোর করে ভাঙার চেষ্টা হলে চোখে চোখ রেখেই লড়াই হবে!’’ মন্ত্রী ফিরহাদ পাল্টা বলেছেন, ‘‘যে বিষয়ে ধর্মঘট, তাকে সমর্থন করছি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে ভাবে আন্দোলন হচ্ছে, তা সাধারণ নাগরিকের মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। সেই নাগরিকদের উপরে কেন বন্‌ধ চাপানো হবে?’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘৩৪ বছর ধরে বন্‌ধ-বন্‌ধ করে বাংলাকে বন্ধ করে দিয়েছিল বামফ্রন্ট!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement