গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র আপত্তি অগ্রাহ্য করে চোখের চিকিৎসা করাতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুবাই যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তার পর ইডি সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সরকারকে অভিষেকের উপর নজর রাখার আবেদন জানিয়েছে। তা নিয়েই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বার সেই প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধলেন অভিষেক।
মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ অভিষেক একটি টুইট করেন। তাতে অন্য একটি টুইটকে রিটুইট করে সাংসদ লেখেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো মানুষের ৩০ হাজার কোটি টাকা লুট করা নীরব মোদী এবং মাল্যদের উপর একই রকম অধ্যবসায় ও উৎসাহ সহকারে যদি নজর রাখত। আমার উপর নজর রাখতে গিয়ে তারা ভুলে যাচ্ছে, গোটা ভারতই এখন তাদের দিকে নজর রাখছে।
প্রসঙ্গত, ফেরার বিনয় মিশ্রও এখন দুবাইয়ে আছেন বলে আদালতে সম্প্রতি দাবি করেছে ইডি। এজলাসে তাদের আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, বিনয়ের মতোই দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন অভিষেকও। কিন্তু আদালত ইডির আইনজীবীর এই যুক্তি মানেনি। উল্টে বিচারপতি সওয়ালে বিস্ময় প্রকাশ করে ইডিকে বলেছিলেন, বিনয় মিশ্র দুবাইয়ে আছেন, এটা জেনেও কেন কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে গ্রেফতার করছেন না! এর পরই আদালত অভিষেককে দুবাই যাওয়ার অনুমতি দেয়। তবে অভিষেককে দুবাই সফরের খুঁটিনাটি ইডিকে জানিয়ে যেতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। অভিষেক দুবাই যাওয়ার পর ইডি আমিরশাহী সরকারের কাছে অভিষেককে চোখে চোখে রাখার আবেদন জানায়। যা নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়। প্রশ্ন ওঠে, কোনও স্বাধীন দেশের জনপ্রতিনিধির উপর অন্য কোনও দেশের সরকারকে নজর রাখতে বলতে পারে কি ইডি?