TMC

দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলা দিয়ে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি

তৃণমূল নেত্রীর সেই নির্দেশ মতোই দক্ষিণবঙ্গের ৬টি জেলায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:০৩
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতোই দক্ষিণবঙ্গ ৬টি জেলায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল। — ফাইল চিত্র।

২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির। ওই দিন তিনি জানিয়েছিলেন ১১ জানুয়ারি থেকে পুরোদমে এই কর্মসূচিতে নামবেন তৃণমূলের সাড়ে ৩ লক্ষ নেতা-কর্মী। নেত্রীর সেই নির্দেশ মতোই দক্ষিণবঙ্গ ৬টি জেলায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল।

Advertisement

দলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা। দক্ষিণবঙ্গের জেলা মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে ওই জেলাগুলির সব জায়গায় প্রথম দিনেই কর্মসূচি রাখা হয়নি।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যেখানে, সেই কাঁথিকে প্রথম দিনের কর্মসূচিতে রাখা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি শহরেই এই কর্মসূচি করবে তৃণমূল। এ ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল, হলদিয়া, পাঁশকুড়া, এগরা, পটাশপুর ব্লকে এই কর্মসূচি রাখা হয়েছে।

Advertisement

হাওড়া জেলার শ্যামপুর, সাঁকরাইল, উদয়নারায়ণপুর, ডোমজুড়, জগৎবল্লভপুর, পাঁচলা ও বাগনানে এই কর্মসূচি হবে। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর, হাঁসখালি, কৃষ্ণগঞ্জ, নবদ্বীপ, রানাঘাটে এই কর্মসূচি রাখা হয়েছে। হুগলি জেলায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি হবে ধনেখালি, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, সিঙ্গুর,পুরশুড়া ও আরামবাগ এলাকায়। একই ভাবে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর, ফরাক্কা, নবগ্রাম, শমসেরগঞ্জ, সুতি, ভরতপুর, হরিহরপাড়া, ডোমকল, জলঙ্গি ও মুর্শিদাবাদে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি করবেন তৃণমূল নেতারা। এ ছাড়াও কর্মসূচি হবে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম, বর্ধমান শহর, জামালপুর, কেতুগ্রাম ও পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায়।

প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের জন্য এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন মমতা। জানিয়েছিলেন ১১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য জুড়ে কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। ৬০ দিনের এই কর্মসূচিতে ২ কোটি পরিবারের কাছে পৌঁছে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে। ৩,৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে এর আওতায় আনা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ তৃণমূল নেতা-কর্মীকে এই কর্মসূচিতে শামিল হতে বলা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা একটি চিঠি ও পরিবারবর্গের হাতে তুলে দেবেন দলের নেতারা। সঙ্গে রাজ্যের ১৫টি প্রকল্প তাঁরা পেয়েছেন কি না বা তাঁরা কেন পাচ্ছেন না, তা বিস্তারিত আকারে জানবে ‘দিদির দূত’রা। ‘দিদির দূত’ নামে একটি অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কোনও তৃণমূল কর্মী এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে পারবেন। সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement