নেতাজি ইন্ডোরে আয়োজিত তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে আমন্ত্রণ জানানো হল না বিজেপি-কে। নিজস্ব চিত্র
রাত পোহালেই তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের এই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু সেই তালিকায় স্থান পায়নি বিজেপি। মঙ্গলবার ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের কার্যালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা এই নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে সাংবাদিক, চলচ্চিত্র জগতের মানুষ, বুদ্ধিজীবী, সকলকে হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানোর। আমরা তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁদের আগে থেকেই কাজ রয়েছে। আমাদের নির্বাচন কেমন ভাবে হয়, তা দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’’ সেই সঙ্গে পার্থ আরও বলেন, ‘‘তবে বিজেপি-কে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’
রিটার্নিং অফিসার পার্থ জানিয়েছেন, বিজেপি বাদে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। সিপিএম নেতা সুখেন্দু পাণিগ্রাহীর মারফত বিমান বসুকে আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সুখেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় আমন্ত্রণ করা যায়নি। তবে বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্যকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চেষ্টা করেও ফরওয়ার্ড ব্লকের হাফিজ আলম সৈরানিকে না পাওয়া যাওয়ায় আমন্ত্রণ করা যায়নি। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বামপন্থী দল সিপিআই (এমএল) নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যকে। এসইউসিআই-এর চণ্ডী ভট্টাচার্যকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্যর কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও তিনি আসতে পারছেন না। সংসদে ব্যস্ত থাকার কারণেই প্রদীপ আসবেন না বলে জানিয়েছেন পার্থ। তাঁর আরও দাবি, বেশির ভাগ বিরোধী নেতা আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেও, পূর্বনির্ধারিত ব্যস্ততার কারণে আসতে পারছেন না।
জবাবে বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূল এখন কংগ্রেস ও সিপিএম-কে নিয়েই সংগঠন করছে। ভালই হয়েছে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কার ঘরে কী রান্না হচ্ছে, তা জানার বাসনা বিজেপি-র নেই।’’