রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র।
চোপড়ায় তিনি যাবেন। তাঁদের এমনই আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চোপড়ার শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তাঁর কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ ন’জন প্রতিনিধি। রাজ্যপালের সঙ্গে চোপড়া, বিএসএফ এবং সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সাক্ষাৎ শেষে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল জানায়, রাজ্যপালকে তাঁরা চোপড়ায় যাওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। তাঁদের সেই আর্জির প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি চোপড়ায় যাবেন। শুধু তাই-ই নয়, এই ঘটনা নিয়ে তাঁর কাছে দেওয়া তৃণমূলের স্মারকলিপি অনুযায়ী যা যা করণীয়, তাই করবেন।
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা ডেপুটেশন দিতে এসেছিলাম। চোপড়ায় যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তা হৃদয়বিদারক। সেখানে বিএসএফের নিষ্ক্রিয়তা দেখা গিয়েছে। মাননীয় রাজ্যপালকে জানালাম, আপনি এক বার চোপড়ায় যান। সেখানে গিয়ে তদন্ত করুন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানান।” চন্দ্রিমা আরও জানিয়েছেন, রাজ্যপাল তাঁদের কথা শুনেছেন। বিষয়টি মানবিক ভাবে উপলব্ধি করেছেন। পাশাপাশি, চোপড়ায় যাবেন বলেও তিনি কথা দিয়েছেন।
রাজ্যপালের সন্দেশখালি যাওয়া নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে কুণালরা বলেছিলেন, রাজ্যপাল সফর কাটছাঁট করে সন্দেশখালি যাচ্ছেন, অথচ চোপড়া কেন যাচ্ছেন না? চোপড়ায় যাওয়ার জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করবেন তাঁরা। সাক্ষাৎ শেষে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলটি জানায়, চোপড়ায় যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। সন্দেশখালি নিয়েও রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলটি। রাজ্যপালকে তাঁরা জানিয়েছে, সন্দেশখালি নিয়ে একতরফা রিপোর্ট এসেছে। রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকেও সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হোক, সেটাও জানিয়ে এসেছেন তাঁরা। ওই প্রতিনিধি দলের চন্দ্রিমা বলেন, “রাজ্যপালকে জানিয়েছি, সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকেও রিপোর্ট নিন। কোনও দিকে না তাকিয়ে যা হওয়া উচিত, তা করুন।”
অন্য দিকে, ব্রাত্য বলেন, “রাজ্যপাল বলেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির দুর্বৃত্তরা নানা রকম গন্ডগোল করে বেড়াচ্ছে। বিজেপি যে সব কাণ্ড করছে রাজ্যে, সেগুলি সম্পর্কে আমরা যেন তাঁকে সময়মতো অবহিত করি।”