বিধানসভা থেকে হেঁটে রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত।
সন্দেশখালি যেতে পারলেন, কিন্তু চোপড়া কেন যাচ্ছেন না রাজ্যপাল? এমনই প্রশ্ন তুলল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিধানসভা থেকে রাজভবনে যায় তৃণমূলের ওই প্রতিনিধি দলটি। ওই দলে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ ন’জন।
রাজভবনে ঢোকার আগে চোপড়ার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কুণাল, ব্রাত্যরা। কুণাল বলেন, “বিএসএফের জন্য চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে চোপড়ায়। রাজ্যপাল এ দিক, ও দিক যেতে পারছেন, কিন্তু চোপড়া কেন যাচ্ছেন না? সেখানে গিয়ে দেখুন কী হচ্ছে।” কুণাল আরও জানান, বিএসএফের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সেই সবই জানানো হবে রাজ্যপালকে।
অন্য দিকে, ব্রাত্যও রাজ্যপালের চোপড়া না যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, “সফর কাটছাঁট করে সন্দেশখালি গেলেন রাজ্যপাল। কিন্তু চোপড়ায় যাচ্ছেন না কেন? সন্দেশখালি যেতে পারলে চোপড়ায় যাওয়াও উচিত তাঁর।” বিষয়টি যেন একপেশে না হয়ে যায় বলে মন্তব্য করেন ব্রাত্য।
সোমবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগাছ এলাকায় একটি নর্দমা কাটছিল বিএসএফ। সেখানেই খেলা করছিল শিশুরা। আচমকাই ধস নেমে দুর্ঘটনা ঘটে। মাটির নীচে চাপা পড়ে চার শিশু। বিএসএফ জওয়ানেরা তাদের উদ্ধার করে চোপড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই চার শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এ নিয়ে বিএসএফের গাফিলতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল। রাজ্যপালের কাছেও বিএসএফের বিরুদ্ধে নালিশ জানানো হবে বলেও জানায় তারা। পাশাপাশি, তাঁকে চোপড়া যেতেও আবেদন জানাবে তৃণমূল।
চোপড়ার শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে সময় চেয়েছিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সময় দেন তিনি। সেই মতো বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বিধানসভা থেকে রাজভবনে রওনা দেয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।