গোয়ায় নিহত সিদ্দি নাইকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়আগামী ২৮ অক্টোবর গোয়ায় যাবেন। তার আগে সলতে পাকানোর কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার সকালে গোয়ার কালিকটে নিহত সিদ্দি নাইকের বাড়িতে গেলেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। চলতি বছরের অগস্টে বছরউনিশের তরুণী সিদ্দি নাইকের জলে ডোবা দেহ উদ্ধার করে গোয়া পুলিশ। তদন্তের পর পুলিশ জানায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু নিহতের পরিবারের সদস্যরা দাবি করে, তাঁকে খুন করা হয়েছে। নাইকে পরিবারের আরও অভিযোগ, কালিকট পুলিশ তাদের অভিযোগকে পাত্তা না দিয়েই যাবতীয় তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
সোমবার সকালে তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌগত রায়, মহুয়া মৈত্র-সহ সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয় তাঁর বাড়িতে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের দাবি, নিহতের বাবা তাঁদের কাছে অভিযোগ করেছেন, মেয়ের মৃত্যুর তদন্ত যেমন সঠিকভাবে হয়নি,তেমনই তাঁকে দিনের পর দিন হেনস্থা করেছে গোয়া পুলিশ। এমনকি সিদ্দির ময়নাতদন্তেও যে তাঁর পরিবার খুশি নয়, তা-ও তাদের জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের ধরার বদলে নিহতের বাবাকেই থানায় ১৬ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে হেনস্থা করেছিল পুলিশ।
দমদমের প্রবীণ সাংসদ সৌগত বলেন, ‘‘আমরা ওঁদের সঙ্গে এক ঘণ্টা কথা বলেছি। ওদের আশ্বাস দিয়েছি, গোয়া পুলিশের এমন কাজের কথা নিয়ে সংসদে সরব হব। আমরা বলেছি, গোয়ায় যদি আমাদের সরকার হয় তাহলে এই ঘটনার তদন্ত আবার নতুন করে শুরু করা হবে।’’