সভায় অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র
রাস্তায় জমে মলমূত্র। ফলে পথ চলা দায়। বর্ষাকালে তো কথাই নেই, তখন আবার নিকাশির জল রাস্তার উপর দিয়ে বয় কারণ কোনও নিকাশি নালাই নেই পথের ধারে। সোমবার মহম্মদবাজারের কাঁইজুলিতে তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মিসভায় আঙ্গারগড়িয়ার ৬৩ নম্বর বুথের সভাপতি সমীর বাগদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের হারের কারণ জানতে চেয়েছিলেন দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার জবাবে এলাকার পথের এই বেহাল অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন স্থানীয়রা। জেলা সভাপতি সেই পথ দেখতে যেতে চাইলে ওই বুথের বাসিন্দা এক মহিলা তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘‘দাদা, আপনি যাবেন আমাদের গ্রামে? কিন্তু হাঁটতে পারবেন না যে! গোটা রাস্তা জুড়ে মল-মূত্র পড়ে। নর্দমাও নেই। বড় কষ্টে আছি আমরা।’’ সব শুনে অনুব্রত স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে রাস্তা পরিষ্কার করা ও নর্দমা তৈরি করার নির্দেশ দেন।
মূলত এ দিনের কর্মিসভায় আগামী নির্বাচনের হাওয়া বুঝতেই ডেউচা, আঙ্গারগড়িয়া, পুরাতন গ্রাম ও সেকেড্ডা পঞ্চায়েতের দলীয় কর্মীদের মনোভাব জানতে চান জেলা সভাপতি। তবে এ দিনের কর্মিসভায় যাতে রবিবারের মহম্মদবাজারের কর্মিসভার মতো তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের বিবাদের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তাই আগে থেকেই বলা ছিল, যাবতীয় অভিযোগ লিখিতভাবে জানানোর জন্য। তারপরেও কেউ কেউ অভিযোগ জানাতে গেলে অনুব্রত সাফ জানিয়ে দেন তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আলাদা করে বলার জন্য। এর ফাঁকেই এক মহিলা কর্মী এলাকার নাগরিক জীবনের সমস্যাগুলি তুলে ধরেন। তারপরেই অনুব্রত সংশ্লিষ্ট বুথ সভাপতির কাছে জানতে চান। ওই বুথ সভাপতিও বলেন, ‘‘আমরা এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছতে পারিনি। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে যে জল পৌঁছনো হয় সেটাও নিয়মিত পাওয়া যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকটা দূর থেকে পানীয় জল আনতে হয় এলাকার মানুষকে।’’এছাড়াও এ দিন পুরাতন গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৬ ও ৪১ নম্বর বুথ সভাপতিরা বুথ ভাগ করার আবেদন জানান জেলা সভাপতির কাছে। সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়কে বিষয়টি দেখার কথা বলেন অনুব্রত।