Arjun Singh

তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ হালিশহরে, ভাঙচুর অর্জুনের গাড়ি

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সাউথ) অজয় ঠাকুর বলেন, “একটা গোলমাল হয়েছিল। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ০৫:০২
Share:

তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে। রবিবার রাতের ঘটনা। গোলমালের জেরে ভাঙচুর হয় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের গাড়ি। অর্জুনের অভিযোগ, তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের আরও দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বাইকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়েছে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ও। দু’পক্ষের কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

তৃণমূল নেতা সুবোধ অধিকারীর দাবি, তাঁর গাড়িতে প্রথম ভাঙচুর চালায় অর্জুনের দলবল। অর্জুনের পাল্টা অভিযোগ, হালিশহরের দলীয় এক নেতার বাড়িতে বৈঠক করার সময়ে সুবোধের দলবল তাঁদের উপরে আগে চড়াও হয়।

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সাউথ) অজয় ঠাকুর বলেন, “একটা গোলমাল হয়েছিল। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় শহরের হলদেবাড়ি এলাকায় হালিশহরের প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান রাজা দত্তের বাড়িতে গিয়েছিলেন অর্জুন। সেখানে বিজেপির আরও নেতা-কর্মীরা ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৮টা নাগাদ গোলমাল শুরু হয় হলদেবাড়ি মোড়ে। শুরু হয় একের পর এক গাড়িতে ভাঙচুর। পথচারীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। আশপাশের বাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যায়।

অভিযোগ, সুবোধের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকেরা অর্জুনের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিজেপি কর্মীদের বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অর্জুন বলেন, “পুলিশের সামনেই সুবোধের বাহিনী আমাদের উপরে চড়াও হয়। তাণ্ডব চালায়।” এরই মধ্যে যুব তৃণমূলের একটি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়।

তৃণমূলের পাল্টা দাবি, গোলমালের সূত্রপাত সুবোধের গাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, “এ দিন রাতে নৈহাটি থেকে সুবোধ তাঁর হালিশহরের বাড়িতে ফিরছিলেন। সে সময়ে হলদেবাড়ি মোড়ে অর্জুনের লোকেরা তাঁর গাড়ি আটকে ভাঙচুর চালায়। অর্জুনের নিরাপত্তারক্ষীরা সুবোধের সঙ্গীদের মারধর করে। তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পাল্টা প্রতিরোধ করেন।” জেলা তৃণমূলের সভাপতি, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “বিজেপি হিংসার রাজনীতি করতে চাইছে। আমাদের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement