জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ফের ‘সক্রিয়’ জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূল সূত্রে খবর, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব। দায়িত্ব পেয়ে জিতেন্দ্র বলছেন, ‘‘আমি দলনেত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।’’
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র। জানিয়ে দেন দলত্যাগের কথাও। কিন্তু ঠিক তার পর দিনই অবশ্য বদলে যায় ছবিটা। কলকাতায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পাশে দাঁড়িয়ে জিতেন্দ্র ঘোষণা করেন, তিনি দলেই থাকছেন। এর পর মাস দুয়েকের কিছুটা বেশি সময় তাঁর ‘অজ্ঞাতবাস’। এ সময় কদাচিৎ দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে তিনি যে দলের মূলস্রোতে ফিরতে মরিয়া তা দৃশ্যতই স্পষ্ট গিয়েছে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে। আসানসোলে নিজের মতো করে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। গত ২৪ জানুয়ারি আসানসোলের এক গুরুদ্বারের অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্ব। সে অনুষ্ঠানে ঘটনাচক্রে উপস্থিত হন জিতেন্দ্রও। ঠিক তার কয়েক সপ্তাহের মাথাতেই জিতেন্দ্রর কাঁধে তুলে দেওয়া হল দলের জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ফের দলের দায়িত্ব পেয়ে জিতেন্দ্র বলছেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি যে ভরসা আমার উপর রেখেছেন, তার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করব। নির্বাচনের আগে দলের কথা তুলে ধরে প্রতিপক্ষের মিথ্যাচারকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করব।’’ প্রসঙ্গত এক সময় আসানসোল আদালতে পেশাদার আইনজীবী হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন জিতেন্দ্র। আসানসোলের মেয়র হওয়ার পর সেই পেশা থেকে সরে আসেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, জিতেন্দ্রর সওয়াল-জবাবের দক্ষতাকে কাজে লাগাতেই তাঁকে দলের জাতীয় মুখপাত্রের পদ দেওয়া হয়েছে।
জিতেন্দ্রর ইস্তফার পর নতুন করে তৈরি হয় পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূলের জেলা কমিটি। কিন্তু সে বার জিতেন্দ্রকে সভাপতির পদ আর ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, জাতীয় মুখপাত্র হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর, আসানসোলের রাজনীতি তো বটেই, জিতেন্দ্রর সামনে খুলে গেল জাতীয় রাজনীতির দরজাও। পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের এ ভাবে ‘ফিরে আসা’য় বৃত্ত সম্পূর্ণ হল বলে মনে করছেন অনেকে।