তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে আগেই বাদ পড়েছেন পার্থ।
দলের সব পদ থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। গিয়েছে সরকারের মন্ত্রী পদও। সেই পর্বেই তিনি বাদ পড়েছেন তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে। এ বার সেই সংগঠনের খোলনলচে বদল হতে পারে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে। ২৩ জুলাই প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁকে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি উঠেছিল। পরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থকে দল থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে, সেই নির্দেশকে নিজেদের সংগঠনের ক্ষেত্রেও কার্যকর করেছেন ফেডারেশনের নেতারা। সঙ্গে তাঁরা পার্থের বিকল্প হিসেবে কোনও গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে ফেডারেশনের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন করেছেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, পার্থের বিকল্প হিসাবে কোনও বড় নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, সংগঠনের আপাদমস্তক বদলে ফেলতে চাইছেন নেতারা। এ ক্ষেত্রে পার্থের জমানায় ফেডারেশনের উচ্চ পদে থাকা নেতাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি ফেডারেশনের দায়িত্বে থাকা এক নেতা নিজেই সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। ফেডারেশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পার্থের জমানায় ফেডারেশনে ওই নেতার বেশ বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল। যা নিয়ে ফেডারেশনের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়। কিন্তু প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর সমর্থন নিয়ে ওই সমস্ত নেতা সরকারি কর্মচারীদের ওপর ছড়ি ঘোরাতেন বলেই অভিযোগ। সেই কারণেই পার্থ-ঘনিষ্ঠ নেতাদের সাংগঠনিক পদ থেকে সরানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। পার্থের আগে তৃণমূলের তরফে এই সংগঠন দেখভাল করতেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর পার্থের হাতে আসে ফেডারেশনের দায়িত্ব।
তবে এ বার আর কোনও একক নেতার হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে নারাজ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বরং একের বেশি নেতাকে দায়িত্ব এনে সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের হাল ধরতে চাইছে তৃণমূল। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের এক প্রবীণ মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি ওই মন্ত্রীকে পার্থের হাতে থাকা একটি দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই মন্ত্রীর পাশাপাশি সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা থাকা এক সাংসদকে ফেডারেশনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংগঠনে নতুন মুখ তুলে আনারও পক্ষপাতী তৃণমূল। ফেডারেশনের আহবায়ক মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা নতুনকে সব সময় স্বাগত জানিয়েছি। তাই সংগঠন যদি আবারও নতুন করে ঢেলে সাজানো হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা থাকবে। পুরনোকে সরে গিয়ে নতুনকে জায়গা করে দিতে হবে, ফেডারেশন এই নীতিতে বিশ্বাস করে। আমাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তা হলে আমরা সব রকম ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত।”