নিজস্ব চিত্র।
শান্তিনিকেতন থেকে মাওবাদী সন্দেহে ধৃত টিপু সুলতানকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত। বুধবার পাঁচ বছরের পুরনো মামলায় বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র টিপু ওরফে মুস্তাফা কামালকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। সঙ্গে ছিল বোলপুর থানাও।
বৃহস্পতিবার টিপুকে তোলা হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে। সেখানে পুলিশের আইনজীবী জি়জ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানান। পাল্টা পুরনো মামলার কথা বলে ধৃতের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। বিচারক দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে টিপুকে সাত দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বুধবার বীরভূমের শান্তিনিকেতন থেকে টিপুকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা-সহ অস্ত্র আইনের একাধিক ধারায় গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ ২০১৬ সালের পুরনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলে আইনজীবী জানান।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত টিপুর বাড়ি বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত গুরুপল্লিতে। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতে তাঁকে পেশ করার আগে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। টিপুর আইনজীবী কৌশিক সিনহা বলেন, টিপুকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন সরকারি আইনজীবী। কিন্তু সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
ঝাড়গ্রাম আদালত থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে টিপু বলেন, ‘‘পাঁচ বছরের পুরোনো মামলায় পুলিশ বিনা দোষে আমাকে গ্রেফতার করেছে। কোনও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’’ টিপুর আইনজীবী কৌশিক সিনহার দাবি, বোলপুর থানা ও ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ যৌথ ভাবে ২৬ বছরের তরুণকে, অন্যায় ভাবে বাড়ির লোকের অনুপস্থিতিতে তুলে নিয়ে আসে। ২০১৬ সালে বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ জয়রাম মুর্মু নামে একজনকে অস্ত্র ও মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার-সহ গ্রেফতার করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা হয়। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও তদন্ত হয়নি। সেই মামলাতেই টিপুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী।
২০১৯ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে মাওবাদী সন্দেহে একবার টিপুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সেই মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শান্তিনিকেতনেই থাকছিলেন টিপু।