ফাইল চিত্র।
যেন পথটাই বদলে গিয়েছে। কামরার কাচে এসে লাগছে গুঁড়ো গুঁড়ো বৃষ্টি। বাইরে ভেজা জঙ্গল এবং পাহাড়। শিলিগুড়ি জংশন হয়ে ট্রেন হেলতে দুলতে চলেছে গুলমা, সেবক হয়ে আলিপুরদুয়ারের দিকে। এই পথে রোজ ট্রেন যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবারের যাত্রাটা একটু আলাদা। ট্রেনের এই কামরার যাত্রীরা সকলেই মুখোমুখি ডুয়ার্স, বৃষ্টি এবং পাহাড়ের। ট্রায়াল রানেই তাক লাগিয়ে দিল ভিস্তাডোম কোচ। শনিবার থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য এই কোচ চালু হওয়ার কথা। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি ভাবে কোচের চাকা গড়ানোর আগেই দু’সপ্তাহের টিকিট ‘বুক’ হয়ে গিয়েছে। যা দেখে রেলের আশ্বাস, এখন সপ্তাহে তিন দিন করে হলেও পর্যটন মরসুমে রোজ এই কোচ চালানো যায় কিনা, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভিস্তাডোমের এই ট্রায়াল রান বা পরীক্ষামূলক দৌড়ে হাজির ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দুকুমার চৌধুরী, আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপকুমার সিংহ। তাঁদের কাছ থেকেই জানা যায়, এখন প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার এই বিশেষ ট্রেনটি চালানো হবে। জঙ্গলে এর গতি কম থাকবে। ঠিক হয়েছে, চালসা ও হাসিমারা স্টেশনে ট্রেনটি কিছুক্ষণ দাঁড়াবে। সেই সময়ে স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন। ট্রেনে বসেই সেই অনুষ্ঠান দেখা যাবে।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের অনেকেই এ দিনের যাত্রায় ছিলেন। তাঁরা মনে করছেন, করোনা আবহে ধুঁকতে থাকা উত্তরবঙ্গের পর্যটনকে নতুন অক্সিজেন জোগাবে ভিস্তাডোম কোচ। আসন্ন পুজো এবং শীতের মরসুমে এই কোচই পারবে পর্যটনকে নতুন দিশা দেখাতে, মনে করেন পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনের অন্যতম কর্তা সম্রাট সান্যাল। তাঁর কথায়, ‘‘এই কোচ নিয়ে আগ্রহ কতটা, তা টিকিট বুকিং এবং সমাজমাধ্যমে এর ছবি শেয়ার থেকেই স্পষ্ট।’’ রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনে বাতানুকূল চেয়ারকার এবং সাধারণ কামরা, দুই-ই থাকবে। টিকিটের দাম ৮৫ থেকে ৭০০ টাকা।