ছবি: সংগৃহীত।
মিতালী এক্সপ্রেসের ভাড়া স্থির হবে আমেরিকান ডলারের হিসেবে। এনজেপি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাতায়াতের ভাড়া রেল থেকে ডলারের হিসেবেই ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও, নিউ জলপাইগুড়িতে ডলারে লেনদেন হবে না। টিকিটের লেনদেন হবে ভারতীয় মুদ্রাতেই। কিন্তু ভাড়ার হিসেব হবে ডলারের বিনিময় হারে। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য এনজেপি স্টেশনে মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র থাকবে। তবে কোন মাসে টিকিটের দাম কত হবে তা ঠিক হবে সংশ্লিষ্ট মাসের প্রথম দিন ডলারের সঙ্গে ভারতীয় মুদ্রার বিনিময়ের হারের হিসেবে।
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালাবে ভারতীয় রেল। ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণের ভারও ভারতীয় রেলের উপরেই ন্যস্ত। সেই কারণে ভারতীয় রেলই ভাড়া নির্ধারণ করবে। ভাড়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও। বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার দাবি, ভাড়ার হার খানিকটা চড়া। এনজেপি থেকে ঢাকা যাওয়ার যা ভাড়া, ঢাকা থেকে এনজেপি আসার ভাড়া তার থেকে বেশি। রেলের ঘোষণা অনুযায়ী, এনজেপি থেকে ঢাকা যেতে বাতানুকুল প্রথম শ্রেণির কামরার ভিত্তি ভাড়া (বেস ফেয়ার) ৩৩ ডলার, ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে যা আড়াই হাজার টাকার উপর।
অন্যদিকে, ঢাকা থেকে এনজেপি আসতে বাতানুকুল প্রথম শ্রেণির কামরার ভাড়া পড়বে ৪৪ ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রার নিরিখে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। বাতানুকুল চেয়ার কারে দু’দিকে যাতায়াতের ভাড়া একই, ২২ ডলার, সতেরোশো টাকার কিছু বেশি। সব ক্ষেত্রেই ভাড়ার সঙ্গে ৫ শতাংশ জিএসটি জুড়বে। রেলের দাবি, ঢাকা থেকে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে। এনজেপি পৌঁছবে পরদিন ভোরে। বাতানকুল প্রথম শ্রেণির কামরায় রাতের ট্রেনে যাত্রীদের শোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সেই কারণেই এই শ্রেণিতে ভাড়া বেশি রাখা হয়েছে।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ”সব কিছু খতিয়ে দেখেই ভাড়া স্থির হয়েছে। আন্তর্জাতিক ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণে বহু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। আর্ন্তজাতিক ট্রেন বলেই ডলারের বিনিয়ম হারে ভাড়া ধার্য হয়েছে।”
মিতালী এক্সপ্রেসের বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি এবং বাতানুকূল চেয়ারকার ছাড়া অন্য কোনও কামরা নেই। দুই ধরনের চারটি করে কামরা থাকবে। সে কারণেই অনেকে দাবি করেছেন ভাড়ায় কিছুটা ছাড় দেওয়ার জন্য। কলকাতা-ঢাকা যে মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করে, তার থেকেও ভাড়া বেশি বলে দাবি। রেলের দাবি, ভাড়া ঠিক হয় দূরত্ব থেকে শুরু করে যে ট্রেন দেওয়া হচ্ছে তাতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বা পরিষেবা কেমন রয়েছে তার উপরে।
রেলের এক আধিকারিকের কথায়, “মিতালী এক্সপ্রেস কিছুদিন চলুক, কেমন যাত্রী হচ্ছে তা দেখে পরে ভাড়ার পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক।”