কলকাতা হাই কোর্টে মোট ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। এত দিন ছিল ৩৯ জন। মাঝে এক জন বিচারপতি অবসর নেন। এখন নতুন তিন জন নিয়োগের ফলে বেড়ে হল ৪১। অর্থাৎ, এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ বিচারপতির আসন শূন্য রয়েছে উচ্চ আদালতে। ফলে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্য বলছে এখনও প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৯ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্ট। —নিজস্ব চিত্র।
দুই লাখের বেশি মামলা ঝুলে রয়েছে। বিচারপতির অভাবে শুনানির জন্য উঠছেই না অনেক মামলা। এমন এক পরিস্থিতিতে নতুন তিন বিচারপতি পেল কলকাতা হাই কোর্ট। শনিবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, আপাতত দুই বছরের জন্য তিন জুডিশিয়াল অফিসারকে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হল। ফলে এখন উচ্চ আদালতের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৪১।
ক’দিন আগে দিল্লিতে বিচারপতিদের বৈঠক হয়। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং প্রধানমন্ত্রী-সহ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা এবং সব হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিরা। কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতির সংখ্যা কম থাকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকের ১৫ দিনের মাথায় অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাই চট্টোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু সামন্ত— তিন জুডিসিয়াল অফিসারকে বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করল কেন্দ্র।
কলকাতা হাই কোর্টে মোট ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। এত দিন ছিল ৩৯ জন। মাঝে এক জন বিচারপতি অবসর নেন। এখন নতুন তিন জন নিয়োগের ফলে বেড়ে হল ৪১। অর্থাৎ, এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ বিচারপতির আসন শূন্য রয়েছে উচ্চ আদালতে। ফলে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাই কোর্টে সূত্রে খবর, গত ফেব্রুয়ারি মাসের তথ্য বলছে এখনও প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৩৯ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার মধ্যে দেওয়ানি মামলাই রয়েছে দু’লক্ষের কাছাকাছি।
এক আইনজীবীর কথায়, ‘‘এমনিতেই আমরা মনে করি বিচারপ্রক্রিয়া ধীর গতিতে চলে। তার উপর বিচারপতির অভাবে প্রচুর মামলা ঝুলে রয়েছে হাই কোর্টে। অনেক মামলা বিচারের জন্য উঠছেই না। বছরের পর বছর পড়ে রয়েছে।’’ হাই কোর্টের প্রশাসন সূত্রে খবর, বিচারপতির সংখ্যা বাড়লে মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত হবে এ কথা অনেকাংশে ঠিক। তবে সব পদ পূরণ হলে জায়গার অভাব দেখা দেবে। এখন যা অবস্থা তাতে খুব বেশি হলে ১০ থেকে ১২টি নতুন কোর্ট বসানো সম্ভব।