Bardhaman medical College

Bardhaman Medical College: ওয়ার্ডে অক্সিজেন চালু থাকার কারণেই দগ্ধ হন বর্ধমান মেডিক্যালের  কোভিড রোগী: রিপোর্ট

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আগুন লাগার ঘটনায় শনিবারই স্বাস্থ্য ভবনের গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:৫৬
Share:

ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী। নিজস্ব চিত্র।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আগুন লাগার ঘটনায় শনিবারই স্বাস্থ্য ভবনের গঠন করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সন্ধ্যা মণ্ডল নামে এক কোভিড রোগী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটির সদস্যেরা যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছেন, তার ভিত্তিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, ওয়ার্ডে অক্সিজেন গ্যাস চালু থাকার কারণেই আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছেন ওই কোভিড রোগী। ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা বেশি থাকার কারণেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল।

Advertisement

শনিবার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন তদন্ত কমিটির সদস্যেরা। কার বা কাদের গাফিলতিতে ওই ওয়ার্ডে আগুন লেগেছে, তা জানতে ১৬ জনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। হাসপাতালের সুপার-সহ দুর্ঘটনার সময় ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রেকর্ড করা হয়েছে তাঁদের বক্তব্য। এ ছাড়াও ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজও চেয়ে পাঠানো হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে অজয় জানান, ঘটনার সময় ওই ওয়ার্ডে আরও তিন জন রোগী ছিলেন। তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও অতিরিক্ত মাত্রায় দগ্ধ হন সন্ধ্যা। তাই তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তিনি আরও জানান, আগুন কী কারণে লেগেছে, তা বোঝা না গেলেও ছড়িয়েছে অক্সিজেনের মাত্রা বেশি থাকার কারণেই।

Advertisement

ঘটনার পরই হাসপাতালের প্রিন্সিপাল এবং এমএসভিপি রিপোর্ট দিয়ে জানান, রোগীদের চিৎকার শুনে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অন্য রোগীদের দ্রুত অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়।

জরুরি তৎপরতায় ওই ওয়ার্ডের রোগীদের যে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে, এ জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিটি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পর রাজ্যের সব হাসপাতালে ফায়ার অডিটে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement