প্রতীকী ছবি।
সারদা, রোজভ্যালির মতো বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে যখন পুরোদমে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই, ইডি, সেই সময় ক্ষুদ্র ঋণের নামে উত্তর দিনাজপুরে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠল কয়েক জনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ডালখোলা থানার পুলিশ জিয়াগাছি থেকে অবৈধ ভাবে বাজারে লেনদেনের অভিযোগে সঞ্জিত সরকার, আসামুদ্দিন এবং মহম্মদ মেহেফুজ আলম নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা একটি ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন বলে পুলিশের দাবি। ‘বিশ্বমানবতা’র নাম করে আরও একটি ভুয়ো সংস্থার হয়েও টাকা তোলা হচ্ছিল। তার এক এজেন্ট মজিবুর রহমানকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত কয়েক বছর ধরেই সঞ্জিতরা ইসলামপুর, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর, ডালখোলা, করণদিঘি এলাকায় বেআইনি ভাবে এই ব্যবসা করছিলেন। এলাকার দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এই চক্রের ফাঁদে পড়ে অধিক সুদের ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, জিয়াগাছিতে সঞ্জিতদের সংস্থাটি খুব সহজে ঋণ দিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনমজুর, ছোট ব্যবসায়ীরা ঋণের জালে জড়িয়ে প্রতারিত হয়েছেন। ঋণ নেওয়ার পরে কিস্তির টাকা ফেরত দিতে গিয়ে অনেকে জায়গা, জমি এমনকি বাড়িঘর বিক্রি করে দিয়েছেন বলেও দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, ‘বিশ্বমানবতা’ সংস্থার নাম করে যে টাকা তোলা হত, তাতে আশ্বাস দেওয়া হত, ২৫ হাজার টাকা জমা করলে ১০ বছর পরে পাওয়া যাবে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। সেই লোভে পড়েও অনেকে মজিবুরকে টাকা দিয়েছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ‘সংস্থা’টি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত প্রধান দফতরের যে ঠিকানা দিয়েছে, তা-ও ইতিমধ্যে ভুয়ো বলে জানা গিয়েছে। অতিরিক্ত জেলা পুলিশ কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘দু’টি চক্রের বাকি সদস্যদের ধরার জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’