শনিবার উত্তরপ্রদেশের একই পরিবারের পাঁচজনকে খুন করা হয়।উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের থরবই থানার অন্তর্গত খেবরাজপুরেদু’বছরের এক শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা এক প্রৌঢ় দম্পতি, তাঁদের মেয়ে, পুত্রবধূ এবং নাতনিকে খুন করেছে।
যোগী রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে প্রয়াগরাজে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন মমতা।
দিল্লির পর এ বার যোগীর রাজ্যে যাচ্ছে তৃণমূলের সত্যানুসন্ধান কমিটি। রবিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ যাবেন ওই কমিটির সদস্যেরা। ওই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন সাংসদ উমা সোরেন ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের একই পরিবারের পাঁচজনকে খুন করা হয়।উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের থরবই থানার অন্তর্গত খেবরাজপুরেদু’বছরের এক শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা এক প্রৌঢ় দম্পতি, তাঁদের মেয়ে, পুত্রবধূ এবং নাতনিকে খুন করেছে।
এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই যোগীর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নেটমাধ্যমে সরব হতে শুরু করেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটারে লেখেন, ‘যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্যকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দু’বছরের একটি শিশু কন্যাও ছিল। প্রায় সমস্ত সংবাদমাধ্যম এই সংবাদটি চেপে গিয়েছে। বিজেপি সরকার কি কোনও সিট গঠন করেছে? তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কী তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবে?’ ডেরেক ছাড়াও, টুইট করে বিজেপি ও যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মন্ত্রী শশী পাঁজা, প্রাক্তন বিধায়ক তথা দলের মুখপাত্র সমীর চক্রবর্তী ও চণ্ডীপুরের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্থমন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যে ভূমিকে পবিত্র ভূমি আখ্যা দিয়েছেন। সেখানেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। বিজেপি যেখানে যোগী রাজের কথা বলে। কিন্তু আমরা দেখলাম, এটা গুন্ডারাজ।’’১৫ এপ্রিল চারজন খুন হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের নবাবগঞ্জে, এমনটাই দাবি চন্দ্রিমার।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে বগটুই ও হাঁসখালির ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিজেপি তাদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিল। এ বার তারই পাল্টা জবাব দিতে পরপর বিজেপিশাসিত রাজ্যে কোনও অসামাজিক ঘটনা ঘটলে সেখানে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শুক্রবারই দিল্লির জহাঙ্গিরপুরী গিয়েছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি-সহ উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ, আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার-সহ অনেকে। শনিবার প্রয়াগরাজের একই পরিবারের পাঁচ সদস্য খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রবিবারই সেখানে প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।