কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র
বাংলায় অস্ত্র ঢুকছে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্য থেকে। এমনটাই দাবি করলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শনিবার হরিদেবপুরে অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি। ফিরহাদ বলেন, ‘‘বাংলায় অস্ত্র আসছে ভিন্ রাজ্য থেকে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেই এই অস্ত্রগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে।’’ এর পরেই তিনি আরও বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো রাজ্য থেকে বাংলায় অস্ত্র ঢোকানো হচ্ছে। দেশকে এক অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কারা এই অস্থিরতার পিছনে রয়েছে, তা সবাই জানে। সে ভাবেই বাংলাকেও অস্থির করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, শনিবার হরিদেবপুর এলাকায় পরিত্যক্ত অটো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৯টি বোমা। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড গুলি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, একটি চাইল্ড হোমের পাশের পরিত্যক্ত জমি গ্যারেজ হিসেবে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে একটি আর্থিক সংস্থা ওই গ্যারেজটি ভাড়ায় নিয়েছিল। যে সব অটো ব্যাঙ্কের দেনা মেটাতে পারত না, সেই সব অটো ওই আর্থিক সংস্থা গ্যারেজটিতে এনে রাখা হত। কিন্তু সেই অটোতে কে বা কারা বিস্ফোরক এবং অস্ত্র রাখল? এবং কবে থেকে ওই অস্ত্র ও বোমাগুলি রাখা হয়েছিল? তা খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ।
অটোগুলিতে কী ভাবে অস্ত্র ও বোমা এল, তা জানতে হরিদেবপুর ৪১ পল্লী ক্লাবের সামনে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হরিদেবপুরের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। সেই বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘হরিদেবপুর-সহ যে কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানে দ্রুত পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। সুকান্তবাবুর বাড়ি থেকে কোন দিন দেখব অস্ত্র উদ্ধার হবে! আমরা জানি অস্ত্র ঢুকিয়ে কে বা কারা বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে। কিন্তু পুলিশ সেই সব বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করছে। দুষ্কৃতীরা সমাজের শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা করবেন। এবং আমরা সেই প্রচেষ্টা রুখব। তাই পুলিশ হরিদেবপুরের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করেছে।’’