খড়্গপুরে বিজেপি-র পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
পোস্টার ঘিরে দ্বন্দ্ব শুরু হল বিজেপি-র মধ্যে। পোস্টারে খড়্গপুর সদরের বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়ের (হিরণ) ছবি না থাকায়, তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমনকি এ নিয়ে অভিনেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পর্যন্ত নালিশ করেছেন।
খড়্গপুর শহরের বেশ কিছু জায়গায় দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হোর্ডিং, পোস্টার পড়ে। সেই পোস্টারে রাজ্য সভাপতি, বিরোধী দলনেতা এবং জেলা সভাপতির ছবি ব্যবহার করা হলেও, ছবি নেই এলাকার বিধায়ক হিরণের। এই বিষয়টি নজরে আসতেই ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি কেন্দ্র নেতৃত্বকে জানিয়েছেন তিনি। কেন তাঁর ছবি নেই পোস্টারে এ নিয়ে শনিবার হিরণ বলেন, ‘‘আমার পোস্টার নেই ঠিক কথা। আমি পোস্টারে বিশ্বাস করি না, কাজে বিশ্বাস করি। আর মানুষের জন্য তা করে যাব।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘মানুষের জন্য এখানে এসেছি। তাই দেখতে পাবেন না কোথাও আমার ব্যানার লাগানো আছে। যাঁরা হোর্ডিং, ছবি লাগিয়েছেন তাঁরা কত জন আছেন? তাঁরা তো ভোট দিয়ে জেতাবেন না, পুরসভা ভোটে যাঁরা ভোট দেবেন, তাঁরা জানেন এই বিধায়ক কী কী কাজ করছেন।’’
তাঁকে বাদ দিয়ে ওই পোস্টার লাগানোর পিছনে দিলীপ গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে মনে করছেন হিরণ। তাই এ নিয়ে নালিশও করেছেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। অভিনেতার বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দু’জনকেই বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সভাপতি জে পি নড্ডা এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও জানিয়েছি। তাঁরা বলেছেন, দলের সংগঠনের যে সংবিধান আছে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং প্রয়োজনে শাস্তিও হতে পারে।’’
বিজেপি-র মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন তেওয়ারি বলেন, ‘‘ওই পোস্টার বা হোর্ডিং দেওয়াটা সাংগঠনিক বিষয় নয়। কোনও ব্যক্তি ধন্যবাদ জানিয়ে দিয়ে থাকতে পারেন। দলের পক্ষ থেকে কোনও পোস্টার বা হোর্ডিং দিলে বিধায়ক, সাংসদ বা রাজ্য ও কেন্দ্র নেতৃত্বের ছবি দেওয়া হয়। তা ছাড়া উনি এখনও পর্যন্ত বিষয়টি জানাননি।’’ অন্য দিকে, বিজেপি-র এই পোস্টার দ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, ‘‘ওঁরা কাজের থেকে পোস্টারে বেশি বিশ্বাস করে। যাই হোক বিলম্বে বোধোদয় হয়েছে। ওই দিকে মন না দিয়ে কাজ করুক।’’