ফাইল চিত্র।
শ্রাবণের শেষ লগ্নের হিসেব অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে সাত শতাংশ উদ্বৃত্ত বৃষ্টি হয়েছে। দিল্লির মৌসম ভবন ১ জুন থেকে ১৫ অগস্ট (রবিবার) পর্যন্ত রাজ্য-ভিত্তিক যে-হিসেব দিয়েছে, তাতে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। ওই খতিয়ান অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গে এ দিন পর্যন্ত ২৪ শতাংশ উদ্বৃত্ত বৃষ্টি হলেও ১৫ শতাংশ বর্ষণ-ঘাটতি রয়েছে উত্তরবঙ্গে। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির যা পূর্বাভাস, তাতে রাজ্য-ভিত্তিক হিসেবে উদ্বৃত্ত বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমতে পারে বলেই মনে করছেন আবহবিজ্ঞানীদের অনেকে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর এ দিন যে-পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর বা দক্ষিণ, বঙ্গের কোনও প্রান্তেই আপাতত লাগাতার জোরালো বৃষ্টির সম্ভাবনা তেমন নেই। উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং কয়েকটি জেলায় আজ, সোমবার বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কাল, মঙ্গলবার থেকে কমে যেতে পারে বর্ষণ। তবে জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে দু’-এক পশলা। তবে জোরালো বৃষ্টির ইঙ্গিত নেই।
আবহবিজ্ঞানীদের মতে, বর্ষাকাল হলেও সব সময় নাগাড়ে বৃষ্টি হয় না। এক দফা বৃষ্টির পরে কয়েকটা দিন শুকনো যায়। এখন সেই দশাই চলছে। জোরালো বর্ষার জন্য মৌসুমি অক্ষরেখার অবস্থানের পাশাপাশি ঘূর্ণাবর্ত কিংবা নিম্নচাপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আবহমণ্ডলে তেমন কোনও পরিস্থিতি নেই। অনেকে বলছেন, অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ অতিক্রান্ত। আমন ধান রোপণের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এই পর্বে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জল মিলেছে।
আপাতত বৃষ্টি না-হলে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও আবহবিদদের অনেকে জানাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, আপাতত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন ৩৪-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকছে। তার সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি। সব মিলিয়ে আবহাওয়া আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর হয়ে উঠতে পারে। এর পাশাপাশি রাতে আকাশ মেঘলা থাকায় তৈরি হতে পারে ভ্যাপসা গুমোট পরিস্থিতি।