শত্রুঘ্ন সিন্হা।
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০ মার্চ থেকে আসানসোল লোকসভার উপ-নির্বাচনে প্রচার শুরু করতে পারেন শত্রুঘ্ন সিন্হা। তাঁর চটজলদি জবাব দেওয়ার ক্ষমতা বা হাজির জবাবের জন্য তাঁকে ‘শটগান’ বলা হয়। বৃহস্পতিবার আসানসোলের ভোটের প্রচার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক এ কথা জানান। এ বারের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন এই অভিনেতা রাজনীতিক। গত রবিবার লোকসভার উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আসানসোলের নিচুতলার কর্মীরা প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। সাতটি বিধানসভা এলাকায় কাউন্সিলর থেকে শুরু করে ব্লক সভাপতিরা দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে পোস্টার হোডিং লাগানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু সকলেই অপেক্ষা করছেন নতুন প্রার্থীর আগমনের। নাম ঘোষণার পরেই আইনমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন শত্রুঘ্ন। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার হয়ে প্রচার করতে আসতে পারেন সোনাক্ষী সিন্হা।
গত কয়েকদিন ধরে বিহারীবাবুর সঙ্গে আসানসোল তৃণমূল নেতৃবৃন্দের আলোচনার পর ঠিক হয় আগামী ২০ মার্চ প্রচার শুরু করবেন। শত্রুঘ্নকে স্বাগত জানাতে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। ১২ এপ্রিল ভোটের কথা মাথায় রেখে প্রচারসূচি সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে শত্রুঘ্ন সিন্হার বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে প্রচার সংক্রান্ত বিষয়ে। তবে এখনই সে সব বিষয়ে সামনে আনছি না। প্রচার শুরু হলে সব জানা যাবে।’’ আসানসোল উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে পার্থ মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি সিপিএমের প্রার্থী। বিজেপি এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবির পর কংগ্রেস আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে কি না, তা স্পষ্ট করেনি।